বাগেরহাটে বিএনপি-জামায়াতের ২১ নেতাকর্মী আটক
বাগেরহাটে বিএনপি-জামায়াতের অন্তত ২১ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে কাটাখালি মোড়সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
বিএনপির গণমিছিল বানচাল করতে এসব নেতাকর্মীদের আটক করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জেলা বিএনপির নেতারা।
এছাড়া, বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এটিএম আকরাম হোসেন তালিমের বাড়ি, শহরের সরুইস্থ দলীয় কার্যালয় এবং শ্রমিক দলের সাবেক জেলা সভাপতি সরদার লিয়াকত হোসেনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এসব ভাঙচুর করেন বলে অভিযোগ বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এটিএম আকরাম হোসেন তালিমের।
দলীয় কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা এবং পুলিশের আটকের ফলে তারা তাদের কর্মসূচি পালন করতে পারেননি বলে দাবি বিএনপির।
এটিএম আকরাম হোসেন তালিম বলেন, "শনিবার সকাল দশটার দিকে আমার চাচাতো ভাই আলী রেজা আহমেদের স্ত্রী মারা গেছেন। আমরা নিহতের দাফন-কাফনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এসময় ছাত্রলীগের কর্মীরা মোটরসাইকেল এসে আমাদের বাড়ি আক্রমণ করে।"
"মৃত্যুর খবর শুনে বাসার সামনে আসা আশা স্বজন ও প্রতিবেশীদের ধাওয়া করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তাদের বসার জন্য আনা চেয়ার ও বাড়ির ভেতর ঢুকে রুমের দরজা-জানালা ভাংচুর করে," জানান তিনি।
আকরাম হোসেন তালিম আরও বলেন, "সারাদেশে বিএনপির গণমিছিলে কর্মসূচি ছিল। কিন্তু সকাল থেকে আমাদের অফিস পুলিশ ঘেরাও করে রেখেছে। আমাদের কোন নেতাকর্মীরা ভেতরে ঢুকতেই পারেনি।"
সেখানে মিছিল করার প্রস্তুতি নিলে পুলিশ পাঁচজনকে আটক করে বলে জানান তিনি।
"যাকে পাচ্ছে তাকে আটকের তৎপরতা চালাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আমরা মিছিল করতে পারিনি।"
বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এমএ সালাম বলেন, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা এসে তাদের অফিসের দরজা, জানালা ভাংচুর করে।
"অফিস তালাবদ্ধ থাকায় দেওয়াল টপকিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে তারা হামলা-ভাংচুর করে। এছাড়া পুলিশ আমাদের নেতাকর্মীদেরও গ্রেপ্তার করেছে," যোগ করেন তিনি।
এদিকে বাগেরহাট-খুলনা মহাসড়কের কাটাখালি মোড় এলাকায় গণমিছিল করেছে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। মিছিলে জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা রেজাউল করিম, নায়েবে আমির এ্যাড. আব্দুল ওয়াদুদ, সাধারণ সম্পাদক শেখ মোঃ ইউনুসসহ সহস্রাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
বাগরেহাট জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা রেজাউল করীম বলেন, "শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি থেকে ফেরার পথে বিভিন্ন স্থান থেকে পুলিশ আমাদের ১৮ নেতাকর্মীকে আটক করেছে। আমরা আটক নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি চাই।"
ফকিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মু. আলিমুজ্জামান বলেন, "এসআই সঞ্জয় বাদী হয়ে একটি নাশকতা মামলা দায়ের করেছেন। এই মামলায় কাটাখালিসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ২১জনকে আটক করা হয়েছে।"
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. মনির হোসেনকে ফোন করলে তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।