১১ জানুয়ারি দেশজুড়ে বিএনপি ও গণতন্ত্র মঞ্চের গণঅবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা
সরকার পতনের উদ্দেশ্যে বিরোধী দল ও জোটগুলোর যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামী ১১ জানুয়ারি ঢাকাসহ দেশের সবগুলো বিভাগীয় শহরে গণঅবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও গণতন্ত্র মঞ্চ।
শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন গণমিছিলের পর যুগপৎ আন্দোলনের দ্বিতীয় কর্মসূচি গণঅবস্থানের ঘোষণা দেন। তিনি জানান, সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, যেসব দল ও জোট আজ গণমিছিল কর্মসূচি পালন করেছে, তারাও গণঅবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেবে।
ইতিমধ্যে গণতন্ত্র মঞ্চও ১১ জানুয়ারি একই কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক ও জোটের নেতা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবুল আজ তাদের গণমিছিল থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, 'বানোয়াট, মিথ্যা' মামলায় কারাবন্দি বেগম খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস, প্রতিম দাসসহ বিরোধী দলের শীর্ষ নেতাদের মুক্তির দাবিতে ১১ জানুয়ারি তারা সব বিভাগে গণঅবস্থান করবেন।
ঢাকায় সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানান বাবুল।
এদিকে সরকার পতনের উদ্দেশ্যে দেশের সমমনা বিরোধী দলগুলোর অংশগ্রহণে আজ (৩০ ডিসেম্বর) দেশের প্রথম যুগপৎ আন্দোলন শুরু করে বিএনপি।
পূর্বঘোষিত গণমিছিলটি আনুষ্ঠানিকভাবে আজ দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে শুরু হয়।
ক্ষমতাসীন সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবি সামনে রেখে গণমিছিল করী বিএনপি।
এর আগে, আজ দুপুরের দিকে গণমিছিলে যোগ দিতে নাইটিঙ্গেল থেকে দৈনিক বাংলা মোড় পর্যন্ত জড়ো হন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এতে বাধাগ্রস্ত হয় যানবাহন চলাচল।
বিএনপিসহ সমমনা প্রায় ৩৩টি দল সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর ও নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনসহ ১০ দফা দাবিতে রাজধানীতে গণমিছিল বের করে।
১০ ডিসেম্বর রাজধানীর গোলাপবাগে দলীয় গণসমাবেশে বিএনপি ২৪ ডিসেম্বর ঢাকাসহ সারা দেশে গণমিছিল কর্মসূচি পালনের পরিকল্পনা ঘোষণা করে।
কিন্তু ওই দিন রাজধানীতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল কর্মসূচি থাকায় মিছিলের দিন পিছিয়ে ৩০ ডিসেম্বর ঠিক করা হয়।
সরকারের পদত্যাগসহ বিএনপির ১০ দফা দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে ৩০ ডিসেম্বর ঢাকায় যৌথ গণমিছিল কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয় ২০ দলীয় জোটভুক্ত এগারোটি দল।
জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা এনডিপি চেয়ারম্যান ক্বারী মোহাম্মদ আবু তাহের, বাংলাদেশ এলডিপি মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল রকিব, মুসলিম লীগের মহাসচিব শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ ইসলামী পার্টির মহাসচিব অ্যাডভোকেট আবুল কাশেম প্রমুখ, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নুরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত যৌথ বিবৃতিতে দলগুলো এ ঘোষণা দেয়।
এছাড়া কর্নেল অলি আহমেদের লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টিও (এলডিপি) বিএনপির ৩০ ডিসেম্বরের কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে।