৬ মাসের জামিন পেলেন ফখরুল, আব্বাস
গত বছরের ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যকার সংঘর্ষের মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে ছয় মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
তাদের স্থায়ী জামিন কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সরকারকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত এক আবেদনের শুনানির পর মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ জামিন আদেশ দেন।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনির।
গতকাল সোমবার তাদের পক্ষে আইনজীবী সগীর হোসেন লিওন পৃথক আবেদন করেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
আইনজীবী ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বিগত ১০ বছরে মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে মোট ৯২টি মামলা হয়েছে। এরমধ্যে ২০ থেকে ২৫টি মামলা এখনও সক্রিয় আছে বলে জানিয়েছেন তার মামলা দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা আইনজীবীরা। বিএনপি মহাসচিব ২০১২ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৩৫০ দিন কারাভোগ করেছেন।
এর আগে নিজ নিজ বাসা থেকে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে তুলে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। পরে ঢাকার একটি আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠায়।
বিশেষ জামিনের আবেদনের পরপরই ঢাকার একটি আদালত ফখরুল ও আব্বাসসহ ২২৪ বিএনপি কর্মী ও নেতার জামিন নামঞ্জুর করেন।
এরপর মির্জা ফখরুলের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম এবং মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাসের পক্ষে একটি রিট দায়েরের পর বিএনপির এই দুই প্রবীণ নেতাকে ডিভিশনাল ফ্যাসিলিটি দেওয়া হয়।
গত ২১ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আসাদুজ্জামান চতুর্থবারের মতো বিএনপি নেতাদের জামিন আবেদন নাকচ করে দেন।