কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে আন্দোলন তীব্র করার অঙ্গীকার ফখরুলের
গ্রেফতারের এক মাস পর সোমবার (৯ জানুয়ারি) কারামুক্তি পেয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকার পতন ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন আরও তীব্র করার অঙ্গীকার করেছেন।
তিনি বলেন, 'তারা আমাদের যতই চাপিয়ে রাখতে চাইবে, জনগণ ততই ক্ষোভে ফেটে পড়বে এবং আন্দোলনের মাধ্যমে তাদেরকে পরাজিত করবে।'
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অল্প সময়ের জন্য বক্তব্য রাখেন ফখরুল। সেখানে তিনি বলেন, সরকার পতনে আন্দোলনের বিকল্প নেই।
'আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব এবং গ্রেপ্তার হওয়া আমাদের সব নেতাকর্মীদের মুক্ত করব। ফ্যাসিবাদী সরকারকে পরাজিত করতে আমাদেরকে আন্দোলন শক্তিশালী করতে হবে এবং আমাদের আন্দোলন সফল হবে,' ফখরুল বলেন।
ফখরুল জানান, তারা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
তিনি বলেন, 'শান্তিপূর্ণ সমাবেশের মাধ্যমে আমরা এই ফ্যাসিবাদী সরকারকে পরাজিত করব। আমরা অঙ্গীকার করছি, বিজয় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবেই, ইনশাআল্লাহ।'
এ সময় দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ১০ ডিসেম্বরের বিএনপির নয়াপল্টনের সমাবেশে সহিংসতা সৃষ্টি করার পরিকল্পনা করেছিল সরকার। কিন্তু তারা সেটা এড়িয়ে সমাবেশ করেছেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, 'সরকার চেয়েছিল সমাবেশ আমরা যেন পল্টনেই করি। জোর করেই করি। তারা একটা মারামারি করে বিএনপির ওপরে দোষারোপ করবে।'
'সরকারকে যে সংঘাতের সুযোগ দিলাম না এটাই আমার অপরাধ। আমরা চেষ্টা করেছি সংঘাত এড়িয়ে সমাবেশ করার,' বলেন তিনি।
এর আগে সোমবার সন্ধ্যা ৫টা ৫০ মিনিটে ফখরুল ও আব্বাস ঢাকার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান।
পুলিশের ওপর হামলার পরিকল্পনা ও উসকানি দেওয়ার অভিযোগে পল্টন থানার মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন বিএনপির এ শীর্ষ দুই নেতা।
প্রসঙ্গত, গত ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নিহত ও অর্ধশত আহত হন। সংঘর্ষের পর বিএনপির কার্যালয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। এ ঘটনার পরদিন পল্টন, মতিঝিল, রমনা ও শাহজাহানপুর থানায় আলাদা চারটি মামলা করে পুলিশ। এতে ২ হাজার ৯৭৫ জন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।
পরে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের বাসায় গত ৮ ডিসেম্বর গভীর রাতে আলাদা অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। প্রথমে তাদের আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে। নিয়ে যাওয়ার প্রায় ১১ ঘণ্টা পর মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে গ্রেফতার দেখানো হয়। পরে তাদের পল্টন থানার মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।