বাংলাদেশে বিনিয়োগ করছে তাইওয়ানের পোশাক কোম্পানি মাকালট
তাইওয়ানের প্রতিষ্ঠান মাকালত ইন্ডাস্ট্রিয়াল কোম্পানি লিমিটেড ১৭ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশে। প্রতিষ্ঠানটি মাকালট বাংলাদেশ লিমিটেড নামে গাজীপুরের বে অর্থনৈতিক অঞ্চলে এ প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করবে।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) সূত্রে জানা গেছে, আজ (১০ জানুয়ারি) রাজধানীতে বে ইকনোমিক জোনের সঙ্গে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষর করবে মাকালট। এই চুক্তির মাধ্যমে তাইওয়ানের প্রতিষ্ঠানকে বে অর্থনৈতিক অঞ্চলে শিল্প স্থাপনের জন্য ১০,০০০ বর্গমিটারেরও বেশি জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হবে।
নতুন এই প্রতিষ্ঠানে প্রায় ১,৫০০ লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। স্পোর্টসওয়্যার, স্লিপওয়্যারসহ বিভন্ন ধরনের গার্মেন্টস পণ্য প্রস্তুত করবে কোম্পানিটি।
রাজধানীতে আজ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বেজার এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন।
দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে তিনি বলেন, "এই সময়ে বিদেশি বিনিয়োগ আসা বাংলাদেশের জন্য খুবই ইতিবাচক একটি ব্যাপার। এই পথ ধরে আরও বিনিয়োগকারী বাংলাদেশে আসবে।"
"এক মাস আগে বে গ্রুপের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক জিয়াউর রহমান তাইওয়ানের এই বিনিয়োগকারীদের নিয়ে আমার অফিসে এসেছিলেন। তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে খুবই আগ্রহী। তাইওয়ানের এই প্রতিষ্ঠানের ফ্যাক্টরি আছে ভিয়েতনামে। তারা ভিয়েতনামেও ব্যবসা বাড়াতে পারতো, সেটি না করে এখানে আসছে। আমি মনে করি, এটি খুবই ইতিবাচক," যোগ করেন বেজার এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান।
বর্তমানে ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, চীন এবং ফিলিপাইনে মাকালতের কারখানাগুলোতে ৩৩ হাজারেরও বেশি লোক কাজ করছে। প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইট অনুসারে, এর অত্যাধুনিক এন্টারপ্রাইজ রিসোর্স প্ল্যানিং (ইআরপি) সিস্টেম কোম্পানিটিকে তাইওয়ানের অন্যতম প্রধান পোশাক প্রস্তুতকারকের অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, জাপান, এবং চীনজুড়ে বড় খুচরা বিক্রেতাদের কাছে কৌশলগত অংশীদার হতেও সাহায্য করেছে।
বেজা সূত্রে জানা যায়, বে অর্থনৈতিক অঞ্চলে ইতোমধ্যেই প্রায় সাড়ে ৬৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ হয়েছে।
১০ মিলিয়ন লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরির লক্ষ্য নিয়েছে বেজা। এই অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে এবং সেখান থেকে বার্ষিক ৪০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য উৎপাদন এবং রপ্তানির প্রত্যাশা করছে সংস্থাটি।