বাংলাদেশে এক হাজারের বেশি মানি এক্সচেঞ্জার অবৈধভাবে কাজ করছে: সিআইডি
ঢাকায় অভিযান চালিয়ে অবৈধ ও মাত্রাতিরিক্ত লেনদেনের সঙ্গে জড়িত ১৪ হুন্ডি ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি সদর দপ্তরে সিআইডির অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গুলশানের জেএমসিএইচ প্রাইভেট লিমিটেড, মোহাম্মদপুরের আলম অ্যান্ড ব্রাদার্স এবং আশকোনার তৈমুর মানি এক্সচেঞ্জের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
বর্তমানে, বাংলাদেশে ২৩৫টি লাইসেন্সপ্রাপ্ত বৈধ মানি এক্সচেঞ্জার রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে এক হাজারের বেশি অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জার সক্রিয় রয়েছে।
এছাড়া রাজধানীর মতিঝিল, গুলশান, উত্তরা এবং ঢাকা বিমানবন্দরের আশপাশসহ বিভিন্ন এলাকায় অনেক ভাসমান, অবৈধ ব্যবসা রয়েছে বলে জানান সিআইডি কর্মকর্তা।
সিআইডির একটি বিশেষ দল মঙ্গলবার ঢাকা মহানগরীর গুলশান-১, রিং রোড, মোহাম্মদপুর, আশকোনা, এবি মার্কেট ও উত্তরার চায়না মার্কেট-এ পাঁচটি স্থানে একযোগে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ দেশীয় মাদক ও বৈদেশিক মুদ্রাসহ ১৪ জনকে আটক করে।
অভিযানে আটককৃতদের থেকে এক কোটি ১১ লাখ ১৯ হাজার ৮২৬ টাকা সমমূল্যের ১৯ দেশের বৈদেশিক মুদ্রাসহ মোট এক কোটি ৯৯ লাখ ৬১ হাজার ৩৭৬ টাকা জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি ছাড়াই নিজস্ব কার্যালয় এবং রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ভাসমান কার্যক্রমের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন করে আসছিল বলে জানিয়েছে সিআইডি।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা স্বীকার করেছে যে, উল্লিখিত প্রতিটি ব্যবসায় প্রতিদিন অবৈধভাবে প্রায় ৭০-৭৫ লাখ টাকা সমমূল্যের বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হবে বলে জানান আইজিপি মোহাম্মদ আলী।