নাশকতার মামলায় খুলনা বিএনপির ৬৬ নেতাকর্মীকে কারাগারে প্রেরণ
খুলনায় পুলিশের দায়ের করা তিনটি নাশকতা মামলায় বিএনপির ৬৬ নেতাকর্মীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক এস এম আশিকুর রহমান শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
কারাগারে যাদের পাঠানো হয়েছে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন- মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মাসুদ পারভেজ বাবু, মহানগর বিএনপির সদস্য গাজী আফসারউদ্দিন, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, কাজী শফিকুল ইসলাম, মাসুদ খান বাদল, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইবাদুল হক রুবায়েদ, মহানগর ছাত্রদলের আহবায়ক ইসতিয়াক আহমেদ, সদস্য সচিব মো. তাজিম বিশ্বাস, স্বেচ্ছাসেবক দল সদর থানা আহবায়ক খায়রুজ্জামান সজীব, নগর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহমেদ সুমন, বিএনপি নেতা জালু মিয়া, ফারুক আহমেদ, জামাল উদ্দিন মোড়ল, শহিদ খান, যুবদল নেতা নাসিম আহমেদ, মাহমুদ হাসান বিপ্লব। বাকীরা সবাই দলের কর্মী।
গত ৬ থেকে ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) সদর, সোনাডাঙ্গা এবং লবনচরা থানায় এসব মামলা দায়ের হয়েছিল।
এ প্রসঙ্গে মহানগর বিএনপির আহবায়ক শফিকুল আলম মনা বলেন, '১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ বানচাল করতে খুলনার বিভিন্ন থানায় পুলিশ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে- নাশকতা, সহিংসতা ও সরকার উৎখাত পরিকল্পনার অভিযোগে- হয়রানিূলক মামলা করে। এসব মামলায় প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন কারাবন্দি ছিলেন। অন্যরা উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন লাভ করেন। আজ তারা আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে তা নামঞ্জুর হয়।'
তিনি বলেন, 'ওই তিনটি মামলায় যেসব অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, আসলে সে সময়ে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। পুলিশ গায়েবি ঘটনা সৃষ্টি করে বানোয়াট অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে।'
এদিকে আদেশ ঘোষণার পর আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের শত শত নেতাকর্মী বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তারা রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার, নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি এবং সরকারের পদত্যাগ দাবি করে মিছিল করেন ও স্লোগান দেন।