রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা, সকাল থেকেই দলে দলে আসছেন নেতা-কর্মীরা
রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় যোগ দিতে রোববার (২৯ জানুয়ারি) সকাল থেকে দলে দলে আসতে শুরু করেছেন দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা। জনসভাস্থল রাজশাহীর মাদ্রাসা মাঠ প্রাঙ্গণ সকাল ৯টায় জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে কেন্দ্র করে নগরীতে তৈরি হয়েছে উৎসবের আমেজ।
সমাবেশ উপলক্ষে তোরণ, ব্যানার-ফেস্টুনে সাজানো হয়েছে রাজশাহী নগরী। ভোর থেকে জেলার বিভিন্ন এলাকার পাশাপাশি উপজেলা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশ স্থলে আসছেন দলের সমর্থকেরা। নানা রঙের টি-শার্ট, গেঞ্জি, টুপি পরে স্লোগান এবং বাদ্যযন্ত্রে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
বেলা ১১টার দিকে সারদায় পুলিশ একাডেমির প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রবেশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর তিনি ৩৮তম বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপারদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
দুপুর তিনটায় আওয়ামী লীগ আয়োজিত এ জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে ৩১টি প্রকল্পের উদ্বোধন, ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও ফলক উন্মোচন করবেন তিনি।
সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের জনসভায় যোগ দিতে দলের নেতাকর্মীরা ভোর ৬টা থেকে রাজশাহীর মাদ্রাসা মাঠে আসছেন। দূরদূরান্ত থেকে আসা নেতাকর্মীরা দলীয় স্লোগানের পাশাপাশি দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জয়ধ্বনি করছেন।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আশা করছেন, রোববারের এ সমাবেশে ৫ থেকে ৭ লাখ মানুষের সমাগম হবে। প্রায় চার একর জমির এই সমাবেশস্থলের পশ্চিম দিকে ৫ হাজার বর্গফুটের নৌকা আকৃতির মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে।
জনসভা উপলক্ষে সাতটি ট্রেন ভাড়া করে জয়পুরহাট, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, নাটোর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে নেতাকর্মীদের নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর বাইরে, বাস-ট্রাকে করে অন্যান্য এলাকা থেকে সমর্থকরা আসছেন। নেতাকর্মীদের জন্য ২টি বড় বড় পানির ট্যাংকের ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং এর পাশাপাশি শহরের বেশ কয়েকটি স্থানে ৫ লাখ পানির বোতল রাখা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে কেন্দ্র করে শহরের চলমান ট্রাফিক ব্যবস্থায়ও পরিবর্তন আনা হয়েছে। দূর থেকে আসা বাস-ট্রাকগুলো রাখার জন্য প্রধান প্রধান সড়কের একটি করে লেন ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।
মিছিল করতে করতে জনসভায় আসা অনেকেই জানিয়েছেন, তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এক নজর দেখতে চান এবং তার কাছ থেকে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা শুনতে চান।