বছরে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে ৫.৩%, প্রাণহানি কমেছে ৪.৬%: যাত্রী কল্যাণ সমিতি
যাত্রী কল্যাণ সমিতির এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ২০২২ এর জানুয়ারি থেকে এবারে জানুয়ারি পর্যন্ত এক বছরে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে ৫.৩ শতাংশ।
তবে, এই একই সময়ে প্রাণহানি কমেছে ৪.৬ শতাংশ। অন্যদিকে, এসব দুর্ঘটনায় আহতের সংখ্যা বেড়েছে ১০.০৪ শতাংশ।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের দুর্ঘটনা পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এই এক বছরে ৫৯৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৮৫ জন নিহত ও ৮৯৯ জন আহত হয়েছেন।
একই সময় রেলপথে ৪৪টি দুর্ঘটনায় ৪৬ জন নিহত ও ৭৮ জন আহত হয়েছেন।
নৌ-পথে ১৩টি দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত এবং ৬ জন নিখোঁজ হয়েছেন।
সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সর্বমোট ৬৫০টি দুর্ঘটনায় ৬৪২ জন নিহত এবং ৯৭৮ জন আহত হয়েছেন।
এ মাসে ২১৪ টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২০৫ জন নিহত ও ১১৪ জন আহত হয়েছেন।
দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এই বছর মোট সংঘটিত দুর্ঘটনার ২৯.৫১ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ৩৮.৬১ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ২৪.৪৫ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়েছে।
এছাড়াও সারা দেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৫.২২ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, ১.১৮ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে, ১.০১ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে সংঘটিত হয়েছে।
বিদায়ী জানুয়ারি মাসে সড়ক দুর্ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে ১৭ জানুয়ারি। এদিন ৩৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২০ জন নিহত ও ৩১ জন আহত হয়েছে।
সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ২ জানুয়ারি। এদিন ১২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১০ জন নিহত ও ২১ জন আহত হয়েছে।
সড়ক দুর্ঘটনায় একদিনে সবচেয়ে বেশি নিহত হয়েছে ১১ জানুয়ারি। এদিন ২৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩০ জন নিহত ও ১৭ জন আহত হয়েছে।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণ মতে, সড়ক দুর্ঘটনার উল্লেখযোগ্য কারণের মধ্যে রয়েছে: বেপরোয়া গতি, বিপজ্জনক ওভারটেকিং ও ফিটনেসবিহীন যানবাহনের অবাধে চলাচল।
তাছাড়া, যাত্রী ও পথচারীদের অসতর্কতা, চালকের অদক্ষতা, রাস্তায় ফুটপাত না থাকার কারণেও দুর্ঘটনা ঘটে থাকে বলে উল্লেখ করেছে তারা।