ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনা দেশের বিচার বিভাগে ‘কালো দাগ’ সৃষ্টি করেছে: হাইকোর্ট
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আদালত কক্ষে বিচারকের বিরুদ্ধে স্লোগান, অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ, অশালীন ও অসৌজন্যমূলক আচরণের ঘটনা দেশের বিচার বিভাগে 'কালো দাগ' সৃষ্টি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া বারের (আইনজীবী সমিতি) তিন আইনজীবীর উপস্থিতিতে এ মন্তব্য করে, আদালত এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালত কক্ষে অশালীন আচরণের ঘটনায় তিন আইনজীবী হাইকোর্টের তলবে হাজির হলে মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি জে বি এম হাসান এবং বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
তিন আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে আদালত বলেন, অবস্থা এমন চলতে থাকলে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীদের নিষিদ্ধ করাসহ কঠোর পন্থা অবলম্বন করতে বাধ্য হবেন হাইকোর্ট।
এদিন শুরুতেই তিন আইনজীবীর পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির সভাপতি মমতাজ উদ্দিন ফকির হাইকোর্টকে বলেন, "ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিষয়টির শান্তিপূর্ণ সমধান হচ্ছে। আজ (১৪ ফেব্রুয়ারি) থেকে সব কোর্ট চলছে। সবকিছুর সমাধান হবে।"
এ সময় উক্ত বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে একমাস সময় চান মমতাজ উদ্দিন ফকির।
একপর্যায়ে হাইকোর্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিন আইনজীবীকে তাদের ব্যাখ্যা পেশ করতে সময় দিয়ে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন।
এর আগে, গত ১৭ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ ফারুককে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও অশালীন আচরণের ঘটনায় আদালত অবমাননার রুলের শুনানির জন্য ১৪ ফেব্রুয়ারি দিন নির্ধারণ করেন আদালত।
প্রসঙ্গত, গত ৫ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ ফারুককে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও অশালীন আচরণের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট তানভীর আহমেদ ভূঞা, সম্পাদক (প্রশাসন) অ্যাডভোকেট মো. আক্কাস আলী ও অ্যাডভোকেট জুবায়ের ইসলামকে তলব করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার দায়ে কেনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।