ব্যবসায়ীরা জ্বালানি সাশ্রয়ে আগ্রহী, বাধা তিতাস
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে জ্বালানি সংকট ও ক্রমবর্ধমান উৎপাদন খরচ উদ্যোক্তাদের জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ সময় ব্যবসায়ীদের প্রতিযোগিতা-সক্ষমতা ধরে রাখার একটি উপায় হতে পারে জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে টাকা বাঁচানো। কিন্তু সংযোগ সমস্যা ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা জ্বালানি সাশ্রয়েও বিনিয়োগ করতে পারছেন না।
টেক্সটাইল ও অ্যাকসেসরিজ খাতের একজন উদ্যোক্তার নাম না প্রকাশের শর্তে জানান, দুই বছর আগে তিনি দুটি জ্বালানি-সাশ্রয়ী জেনারেটর কিনেছিলেন। প্রতিটি জেনারেটরের দাম ৫ কোটি টাকা। একটি ব্যাংকের মাধ্যমে জেনারেটরগুলো কেনার অর্থ জোগাড় করেন ওই উদ্যোক্তা। কিন্তু ২০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েও এখনও প্রয়োজনীয় সংযোগ নিতে পারেননি তিনি।
নতুন জেনারেটরগুলো একই পরিমাণ গ্যাস ব্যবহার করে আগের জেনারেটরগুলোর তুলনায় ৩৫ শতাংশ বেশি শক্তি উৎপাদন করবে (১,০৫০ কিলোওয়াট ঘণ্টা থেকে ১,৪০০ কিলোওয়াট ঘণ্টার বেশি)। এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তার জ্বালানি খরচ কমে আসবে।
জ্বালানি-সাশ্রয়ী জেনারেটর ব্যবহার করে অর্থও বাঁচানোর একটি উদাহরণ দেওয়া যাক। শাশা ডেনিমসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামস মাহমুদ জ্বালানি-সাশ্রয়ী জেনারেটর ব্যবহার করছেন। গ্যাসের চাপ কম থাকায় যে উৎপাদন ক্ষতি হতো, তা থেকে তাকে বাঁচিয়ে দিচ্ছে এই জেনারেটর।
শামস জানান, জেনারেটর চালাতে গ্যাসের চাপ লাগে ন্যূনতম ১০ পিএসআই (পাউন্ড পার ইঞ্চ)। কিন্তু তার জ্বালানি-সাশ্রয়ী জেনারেটর গ্যাসের চাপ ১০ পিএসআইয়ের নিচে নেমে গেলেও ভালো কাজ করে। এর কারণ হলো, কম সাশ্রয়ী জেনারেটরের তুলনায় একই পরিমাণ শক্তি উৎপাদন করতে জ্বালানি-সাশ্রয়ী জেনারেটরে জ্বালানি কম লাগে।
জ্বালানি-সাশ্রয়ী যন্ত্রপাতি ৪১ শতাংশ পর্যন্ত জ্বালানি বাঁচাতে পারে
২০১৪ সালে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) পরিচালিত এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ইস্পাত ও লোহা শিল্প জ্বালানি-সাশ্রয়ী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে ৪১ শতাংশ পর্যন্ত জ্বালানি বাঁচাতে পারে। আর কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, চিনি ও পাট শিল্পের ক্ষেত্রে ১৮ শতাংশ পর্যন্ত জ্বালানি বাঁচানো সম্ভব।
কিন্তুব আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে কয়েক ডজন শিল্প গ্যাসের ব্যবহার ৪১ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৮ শতাংশে আনতে পারছে না। অথচ তা করা গেলে বিভিন্ন শিল্পের ওপর ভিত্তি করে দৈনিক ১৭১ এমএমসিএফ থেকে ৩৮৯ এমএমসিএফ (মিলিয়ন ঘনফুট) গ্যাস বাঁচানো যেত।
গ্যাস সংযোগের জন্য দীর্ঘ প্রতীক্ষা
নতুন গ্যাস সংযোগ দীর্ঘ নিতে গেল ব্যবসায়ীদের দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। পুরনো যন্ত্র বদলানোর অনুমতি পেতেও অনেক বিলম্ব হয়।
গ্যাস বিতরণ কোম্পানি তিতাস বলছে, অনুমতি দিতে বিলম্ব হওয়ার কারণ হলো প্রতিটি প্রস্তাব বোর্ড সভায় অনুমোদন করতে হয়। তবে ব্যবসায়ীরা প্রশ্ন তুলেছেন, জেনারেটর বদলে সাশ্রয়ী জেনারেটর বসানোর প্রস্তাবে বোর্ডের অনুমোদন কেন লাগবে? আর অনুমোদন দিতে এত সময়ই বা কেন লাগবে? এর ফলে ব্যবসা করার খরচের ওপর চাপ পড়ছে।
তিতাসের পদক্ষেপ সরকারের নীতির সঙ্গেও সাংঘর্ষিক। যেমন, সরকার-প্রতিষ্ঠিত টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (স্রেডা) জ্বালানি সাশ্রয় ও সংরক্ষণের পক্ষে বাড়াতে একটি প্রকল্প পরিচালনা করছে। এ প্রকল্পের আওতায় তারা জ্বালানি-সাশ্রয়ী যন্ত্রপাতি কেনার জন্য শিল্প, ভবন ও আবাসিক খাতে কম সুদের (৪-৬ শতাংশ) ঋণ দিয়ে থাকে। স্রেডার তথ্য অনুসারে, প্রায় ৪৬টি শিল্প জাইকা থেকে কম সুদের ঋণ পেয়ে পুরনো যন্ত্রপাতি বদলে নতুন যন্ত্রপাতি কিনেছে। এতে তাদের বিদ্যুৎ খরচও কমেছে।
এছাড়া আরও অনেক সংস্থা শিল্প খাতে সৌর ও বায়ুশক্তির মতো নবায়নযোগ্য শক্তি উৎসের ব্যবহার বাড়ানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছে। সরকারি মালিকানাধীন আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড (ইডকল) বিভিন্ন শিল্পকে নবায়নযোগ্য শক্তি প্রযুক্তি গ্রহণে সহায়তা করার জন্য ঋণ ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দিচ্ছে।
কিন্তু গ্যাস বিতরণ কোম্পানির অবহেলা, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও নিজস্ব খরচের ফলে জ্বালানি-সাশ্রয়ী জেনারেটর স্থাপন কঠিন হয়ে পড়েছে। এর ফলে সরকার শিল্প খাতে গ্যাসের ব্যবহার কমানোর যে লক্ষ্য নিয়েছে, তা অর্জনও কঠিন হয়ে পড়েছে।
তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. হারুনুর রশীদ মোল্লা বলেন, শিল্প প্রতিষ্ঠানের জ্বালানি-সাশ্রয়ী সংযোগের প্রস্তাব তারা অনুমোদন করছেন না, এ অভিযোগ সত্য নয়।
হারুনুর দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'প্রতি মাসে আমাদের অন্তত একবার বোর্ড মিটিং হয়। প্রতিটি বোর্ড মিটিংয়ে এরকম পাঁচ থেকে ১০টা প্রস্তাব অনুমোদন করছি আমরা। কিন্তু এরকম আবেদনের সংখ্যা অনেক বেশি। এছাড়া বোর্ড মিটিংয়ের এজেন্ডা শুধু এসব প্রস্তাব অনুমোদনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। নানা ধরনের সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয় [মিটিংয়ে]।'
এরকম কয়টি আবেদন পেন্ডিং আছে, তা হারুনুর না জানালেও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ১০০-র বেশি আবেদন জমা পড়ে আছে।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিজেই এরকম বিষয়ের অনুমোদন দিতে পারেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, বোর্ডে উত্থাপন না করে কোনো ব্যবস্থাপনা পরিচালক এই অনুমোদন দিতে পারেন না।
হারুনুর জানান, এ ধরনের আবেদনের মধ্যে রয়েছে পুরোনো মেশিন বদলে নতুন মেশিন বসানো, গ্যাস সরবরাহের লোড বাড়ানো ও নতুন গ্যাস সংযোগের আবেদন। তাছাড়া এ ধরনের প্রস্তাব অনুমোদনের মধ্যে কিছু প্রযুক্তিগত প্রতিবেদন বিশ্লেষণ এবং মাঠ পরিদর্শনও রয়েছে।
বর্তমানে ছয়টি গ্যাস বিতরণ কোম্পানির অধীনে প্রায় ২ হাজার ২০০টি ক্যাপটিভ সংযোগ ও ৭ হাজার ১৮টি শিল্প সংযোগ রয়েছে। এসব সংযোগে দেশের মোট গ্যাসের প্রায় ৩৫ শতাংশ ব্যবহার করা হয়।
দেশের বৃহত্তম গ্যাস বিতরণ কোম্পানি তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (টিজিটিডিসিএল) মোট ১ হাজার ৭৩৬টি ক্যাপটিভ ও ৫ হাজার ৩৯৬টি শিল্প গ্রাহক আছে। কোম্পানিটির সংযোগসংখ্যা ২৮ লাখ ৭৭ হাজার।
২০২১-২২ অর্থবছরে এ খাত দুটি যথাক্রমে তিতাস গ্যাসের বিতরণকৃত মোট গ্যাসের প্রায় ৩১ শতাংশ ও ২৮.৩৭ শতাংশ ব্যবহার করেছে।
আরএমজি শিল্পমালিকরা বলেন, জ্বালানি-সাশ্রয়ী জেনারেটর গ্যাসের ব্যবহার অন্তত ১০ শতাংশ কমাতে পারে।
অর্থাৎ এ জেনারেটর ব্যবহার করে ২৬৭.১৩ এমএমসিএফ গ্যাস বাঁচানো সম্ভব, যা আমদানি করা স্পট এলএনজির দ্বিগুণ। এলএনজি আমদানির জন্য বাংলাদেশকে অকল্পনীয় ব্যয় করতে হয়। এর ফলে পণ্যের উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যায় এবং তার জেরে ভোক্তা পর্যায়ে বেড়ে যায় পণ্যের দামও।
কিন্তু বর্তমানে ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ খাতে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাটারপিলার ও ওয়াকেশা ব্র্যান্ডের প্রচুর পাওয়ার জেনারেটর ব্যবহার করা হয়। এই দুটো ব্র্যান্ডের জেনারেটরের পুরোনো মডেলগুলো মাত্র ৩০ শতাংশ দক্ষ—অর্থাৎ এক ঘনমিটার গ্যাস পোড়ালে মাত্র ৩০ শতাংশ ফল পাওয়া যায়।
তবে ফিনিশ ব্র্যান্ড ওয়ার্টসিলার জেনারেটর ৪৩ শতাংশ থেকে ৪৪ শতাংশ পর্যন্ত জ্বালানি সাশ্রয় করতে পারে।
ভোক্তাদের জ্বালানি সাশ্রয়ে উৎসাহিত করার জন্য জ্বালানি নিয়ন্ত্রক কমিশন ২০১৮-এর অক্টোবরের আদেশে গ্যাস বিতরণ সংস্থাগুলোকে ক্যাপটিভ ও শিল্প খাতের যেসব গ্রাহক তিন মাস সহউৎপাদনে সক্ষম জেনারেটর দিয়ে কারখানা চালায়, তাদের মোট বিলের উপর ০.২৫ শতাংশ ছাড় দিতে বলেছিল।
বিতরণ কোম্পানিগুলো পেট্রোবাংলার ব্যবস্থাপনায় জ্বালানি নিরাপত্তা তহবিল থেকে এ অর্থ ফেরত নেওয়ার পরামর্শ দেয়।
নিয়ন্ত্রক কমিশন পেট্রোবাংলাকে এ বিষয়ে একটি নিয়মও তৈরি করতে বলে।
কিন্তু নিয়ম তৈরি হয়নি। শিল্পগুলোও রেয়াত সুবিধা পায়নি। এমনকি শিল্পগুলো তাদের পুরনো মেশিনও প্রতিস্থাপন করতে পারেনি।
জানতে চাইলে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার টিবিএসকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয়ের অবস্থান কী এবং বিষয়টি কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে, তা জানতে তিনি সময় চেয়েছেন।
সহযোগিতা পাওয়ার বদলে হয়রানির শিকার ব্যবসায়ীরা
উন্নত জেনারেটরের সুবিধা পেতে অনেক শিল্পমালিক ও উদ্যোক্তা তাদের পুরোনো গ্যাস জেনারেটর প্রতিস্থাপনের অনুমতি চেয়ে তিতাসের কাছে আবেদন করেন। কিন্তু তিতাস গ্যাসের কর্মকর্তাদের সহযোগিতা না পাওয়ায় তারা জেনারেটর বদলাতে পারেননি বলে অভিযোগ রয়েছে।
নিটওয়্যার শিল্পে ক্যাপটিভ সংযোগ আছে প্রায় ৩০০ কারখানায়। এদের মধ্যে কিছু কারখানা জ্বালানি-সাশ্রয়ী জেনারেটর ব্যবহার করলেও বহু কারখানা এখনও পুরোনো জেনারেটর দিয়ে চালানো হচ্ছে বলে জানান শিল্পসংশ্লিষ্টরা।
সহউৎপাদনে সক্ষম উন্নত জেনারেটর ব্যবহারের সুবিধা থাকা সত্ত্বেও বহু কারখানা বিদ্যমান জেনারেটর দিয়েই কাজ চালাতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে, কারণ নতুন জেনারেটর প্রতিস্থাপনের প্রক্রিয়া চলাকালে তাদের হয়রানির শিকার হতে হয়।
তাই গ্যাস বিতরণ কোম্পানির সহায়তা না পাওয়ায় কিছু উদ্যোক্তা নতুন মেশিন কিনেও অলস ফেলে রেখেছেন বলে জানিয়েছেন শিল্পসংশ্লিষ্টরা।
এসব অভিযোগের সঙ্গে একমত পোষণ করে বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম প্রক্রিয়াটিকে আরও সহজ করার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
টেক্সটাইল খাতে ক্যাপটিভ সংযোগ আছে প্রায় ৪০০ মিলে। এর মধ্যে মাত্র ৩০ শতাংশ মিলে জ্বালানি-সাশ্রয়ী মেশিনারিজ আছে।
শিল্পসংশ্লিষ্টরা বলেন, শিল্পোদ্যোক্তারা জেনারেটরের মডেল পরিবর্তনের আবেদন নিয়ে গ্যাস বিতরণ কোম্পানির কাছে গেলে, সংযোগ নেওয়ার সময় যেসব প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল এখনও সেই একই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন স্পিনিং মিল মালিক টিবিএসকে বলেন, এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে সাধারণত দেড় বছর সময় লাগে।
ফেডারেশন অভ বাংলাদেশ চেম্বার অভ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের একজন পরিচালক বলেন, অনেক টেক্সটাইল মালিক ফেডারেশনকে বিষয়টি জানিয়েছেন। ফেডারেশনের নেতারা বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন।
বিজিএমইএর সদস্য, এমন ৩৫০ থেকে ৪০০টি কারখানা ও ওয়াশিং প্লান্টে ক্যাপটিভ সংযোগ রয়েছে। বিজিএমইএর সূত্র জানিয়েছে, শুধু বৃহৎ কারখানাগুলোই উন্নত জ্বালানি-সাশ্রয়ী জেনারেটর ব্যবহার করছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিজিএমইএর একজন সহসভাপতি বলেন, প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও কারখানা মালিকরা নতুন জেনারেটর প্রতিস্থাপন করতে পারছেন না।
তিনি আরও বলেন, 'নতুন সংযোগ হোক কি পুরনো জেনারেটর বদলানো হোক, উদ্যোক্তাদের নিজের পকেটের টাকাই খরচ করতে হয়, যা শেষ পর্যন্ত উৎপাদন খরচ বাড়িয়ে দেয়।'
জানতে চাইলে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান মো. আব্দুল জলিল বলেন, 'নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে আদেশ বাস্তবায়নের রিসোর্স নেই। আমরা যা করতে পারি, তা হলো সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে আদেশটি বাস্তবায়ন করতে বলা, যা ভোক্তা ও কোম্পানি উভয়ের জন্যই উপকারী।
'তারা যদি আদেশ বাস্তবায়ন না করে, সেক্ষেত্রে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে অভিযোগ পেলেই কেবল আমরা ব্যবস্থা নিতে পারি।'