ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যেসব ধারায় প্রথম আলোর সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোর সাভার প্রতিনিধি শামসুজ্জামান শামসের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
এরপর ভোর ৪টার দিকে শামসুজ্জামানকে তার সাভারের বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
রাত সোয়া ২টার দিকে তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন ঢাকা উত্তর মহানগর যুবলীগের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া।
শামসুজ্জামান শামসের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮- এর ২৫ (২), ২৬ (২), ২৯ (১), ৩১ (২), ৩৫ (২) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আইনের ২৫ নং ধারাটি 'আক্রমণাত্মক, মিথ্যা বা ভীতি প্রদর্শক, তথ্য-উপাত্ত প্রেরণ, প্রকাশ, ইত্যাদি' সম্পর্কিত। এর ২৫ (২) উপ-ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ডিজিটাল মাধ্যমে –
উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো অপরাধ সংগঠন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ৩ বৎসর কারাদণ্ডে, অনধিক ৩ লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে, বা উভয় দণ্ডে দন্ডিত হইবেন।
আইনের ২৬ নং ধারাটি 'অনুমতি ব্যতীত পরিচিতি তথ্য সংগ্রহ, ব্যবহার, ইত্যাদির দণ্ড' সম্পর্কিত। এর ২৬ (২) উপ-ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
মানহানিকর তথ্য প্রকাশ, প্রচার, ইত্যাদি' সম্পর্কে ২৯ ধারা। এর ২৯ (১) উপ-ধারায় শামসের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়। ২৯ (১) উপ-ধারায় রয়েছে যে, যদি কোনো ব্যক্তি ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে Penal Code (Act XLV of 1860) এর section 499 এ বর্ণিত মানহানিকর তথ্য প্রকাশ বা প্রচার করেন, তজ্জন্য তিনি অনধিক ৩ (তিন) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৩১ ধারা 'আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটানো, ইত্যাদির অপরাধ ও দণ্ড' সম্পর্কিত। ৩১ (২) উপ-ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ৭ (সাত) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
'অপরাধ সংঘটনে সহায়তা ও উহার দণ্ড' সম্পর্কে বলা হয়েছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৩৫ ধারায়। এর ৩৫ (২) উপ-ধারায় রয়েছে যে, অপরাধ সংঘটনে সহায়তা করিবার ক্ষেত্রে, মূল অপরাধটির জন্য যে দণ্ড নির্ধারিত রহিয়াছে, কোনো ব্যক্তি সেই দণ্ডেই দণ্ডিত হইবেন।