ঢাকায় জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা
ঈদ-উল-ফিতরের আর মাত্র সপ্তাহ তিনেক বাকি; এরইমধ্যে আসন্ন উৎসবকে ঘিরে জমে উঠেছে কেনাকাটা। এই রমজানের প্রথম সপ্তাহান্ত শুক্রবার (৩১ মার্চ) সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেটে দেখা গেছে ক্রেতাদের ভিড়।
ঢাকার বেশ কয়েকটি মার্কেট ও শপিং মল ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতারা জামাকাপড়, জুতা, অলঙ্কারসহ বিভিন্ন জিনিস কেনার জন্য ভিড় করছেন দোকানে। শুক্রবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতাদের ভিড়ও বাড়তে থাকে।
বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সে সারা ফ্যাশনের ব্যবস্থাপক জিসান হাসান বলেন, "আজ সকাল থেকে আমাদের শোরুমে প্রচুর ভিড়। ইফতারের পর ক্রেতার সংখ্যা আরও বেড়েছে।"
তিনি জানান, রমজানের প্রথম দুই দিনে ক্রেতাদের ভিড় ছিল। কিন্তু এরপরের কয়েকদিন আবার ক্রেতাদের সমাগম কমে যায়।
"তবে, ক্রেতার সংখ্যা আজ আবার বেড়েছে; আশা করছি, এই অবস্থা ঈদ পর্যন্ত বজায় থাকবে," যোগ করেন তিনি।
মিরপুর মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের ইমিটেশন জুয়েলারি বিক্রেতা রকিবুল ইসলাম বলেন, "দিন যত বাড়ছে, মানুষের ভিড়ও বাড়ছে। সাধারণত শুক্রবারে ভিড় বেশি হলেও আজ স্বাভাবিকের চেয়ে ক্রেতাদের সংখ্যা অনেকটাই বেশি।"
ঢাকা নিউমার্কেটের সাইকি ফ্যাশনের মালিক কামরুল ইসলাম বলেন, "আজ ভালো বিক্রি হচ্ছে। ছেলেদের পোশাকের চেয়ে মেয়েদের পোশাক বিক্রি হচ্ছে বেশি।"
ঊর্মি সুমাইয়া নামে এক ক্রেতা জানান, শুক্রবার হাতে সময় নিয়ে সন্তানদের জন্য পোশাক কিনতে এসেছেন তিনি। "যেহেতু আমি চাকরি করি, তাই ছুটির দিন ছাড়া আমার কেনাকাটা করার সময় নেই। আজ বাচ্চাদের জন্য কিনছি। নিজের জন্য হয়তো পরের সপ্তাহান্তে কেনাকাটা করব," বলেন তিনি।
এদিকে রোজা শুরুর এক সপ্তাহ পরেও জমে উঠেনি চট্টগ্রামের ঈদ বাজার
রোজার এক সপ্তাহ শেষ, কিন্তু চট্টগ্রামের ঈদবাজারে দেখা যাচ্ছে না ক্রেতাদের তেমন ভিড়।
চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর নেতারা বলছেন, এবার ঈদ উপলক্ষে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ করেছেন। এরমধ্যে একেবারে নতুন বিনিয়োগ হয়েছে এক হাজার কোটি টাকার বেশি।
টানা দুই বছর করোনা মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার পর গতবছর ঈদে কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন তারা। কিন্তু এবার দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে ঈদের মাত্র তিন সপ্তাহ বাকি থাকলেও ক্রেতার দেখা নেই।
চট্টগ্রামে পাইকারি ও খুচরা বাজারের জন্য বিখ্যাত টেরিবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আহমদ হোছাইন জানান, টেরিবাজারে ১১০ টি মার্কেটে দোকানের সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার।
"দেশের পাশাপাশি ভারত, পাকিস্তান, মালয়শিয়া, দুবাই ও থাইল্যান্ড থেকে ব্যবসায়ীরা এখানে ঈদের জন্য কাপড় নিয়ে এসেছেন। ছোট দোকানগুলো নুন্যতম ২০ থেকে ৫০ লাখ এবং মেগাশপগুলো কোটি টাকার ওপরে বিনিয়োগ করেছেন তারা। তবে এবারের পরিস্থিতি একেবারে ভিন্ন, ক্রেতা নেই বললেই চলে। লাভতো দূরের কথা, দোকান খরচ উঠবে কিনা তা নিয়েই শঙ্কায় আছি," যোগ করেন তিনি।
নিউ মার্কেটে চারুলতার সত্ত্বাধিকারী মোহাম্মদ জুয়েল বলেন, "দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ঈদের জন্য শাড়ি নিয়ে এসেছি। কিন্তু গত এক সপ্তাহে ১০ লাখ টাকার বিক্রিও হয়নি।
তবে কিছুটা ব্যতিক্রম চিত্র দেখা গেছে বন্দরনগরীর সবচেয়ে অভিজাত শপিংমল মিমি সুপার মার্কেট, আফমি প্লাজা ও বালি আর্কেডে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মিমি সুপার মার্কেটে ক্রেতা সমাগম ছিলো বেশ ভালো।