ফের জামিনের আবেদন করলেন প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান
রমনা থানায় দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের (ডিএসএ) মামলায় সোমবার (৩ এপ্রিল) সকালে মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে আবারও জামিনের আবেদন করেছেন প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামস।
শামসুজ্জামানের আইনজীবী প্রশান্ত কর্মকার প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) শামসুজ্জামানকে রমনা থানায় ডিএসএ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়।
সেখানে শামসুজ্জামানের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। অপরদিকে রমনা থানা পুলিশ তাকে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করে।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বুধবার (২৯ মার্চ) মধ্যরাতে দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় প্রথম আলোর সাভার প্রতিনিধি শামসুজ্জামান শামসকেও আসামি করা হয়। এছাড়াও আসামিদের মধ্যে 'সহযোগী ক্যামেরাম্যান'সহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা রয়েছেন বলে জানা গেছে।
রাত ১১টা ১০ মিনিটের দিকে আইনজীবী আবদুল মালেক ওরফে মশিউর মালেক বাদী হয়ে রমনা থানায় মামলাটি করেন।
এর আগে, বুধবার ভোরে শামসুজ্জামান শামসের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়। এরপর ভোর ৪টার দিকে শামসুজ্জামানকে তার সাভারের বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
রাত সোয়া ২টার দিকে তেজগাঁও থানায় তার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন ঢাকা উত্তর মহানগর যুবলীগের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া।
শামসুজ্জামান ও প্রথম আলো সম্পাদকের বিরুদ্ধে ডিএসএর ২৫(২), ৩১ ও ৩৫ ধারায় মামলা করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার ভোর ৪টার দিকে তিনটি গাড়িতে করে প্রায় ১৬ জন শামসুজ্জামানের বাসার সামনে যান। তারা আরো জানান, তিনটি গাড়ির মধ্যে একটিতে নম্বর প্লেট ছিল না।
শামসুজ্জামানের পরিবার জানায়, ভোর ৪টায় তাকে আটক করার পর বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁও এলাকায় এ সাংবাদিককে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু ছেড়ে দেওয়ার ১০ মিনিটের মধ্যে তাকে আবারও তুলে রমনা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।