মশা দমনে এবার দক্ষিণ কোরিয়ার প্রযুক্তি কাজে লাগাতে চায় ঢাকা উত্তর সিটি
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মশা দমনে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল শহরের অত্যাধুনিক পদ্ধতি কাজে লাগাতে চায় উত্তর সিটির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
মেয়র দক্ষিণ কোরিয়ায় ৫ দিনের সফরে গিয়ে বুধবার (১২ এপ্রিল) সিউল মেট্রোপলিটন গভার্নমেন্টের ডেপুটি মেয়র কিম ইউ সিয়াংয়ের সাথে সিটি ম্যানেজমেন্ট শীর্ষক এক বৈঠক শেষে এসব কথা জানান।
উত্তর সিটি মেয়র জানান, ম্যানুয়াল পদ্ধতির চেয়ে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ভেকল মাউন্টেন মেশিনের মাধ্যমে স্প্রে করে (লার্ভিসাইড) মশা দমন সহজ ও কার্যকরী পদ্ধতি। দীর্ঘ ৩০ বছর আগে মশা নিধনে এ পদ্ধতি অনুসরণ শুরু করে সিউলের নগর সরকার। গত এক দশকে মশা নিয়ন্ত্রণে শতভাগ সফল হয়েছে তারা। আর সেই পদ্ধতিই কাজে লাগাতে চাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন।
কোরীয় ফাউন্ডেশনের আমন্ত্রণে নগর ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত অভিজ্ঞতা বিনিময়ে উত্তর সিটি মেয়র আতিকুল ইসলাম পাঁচ দিনের সফরে সিউলে অবস্থান করছেন।
মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, '৩০ বছর আগেও দক্ষিণ কোরিয়ায় একসময় প্রচুর মশা ছিল। কিন্তু তারা অটোমেশন ও মেকানাইজ পদ্ধতির মাধ্যমে এটি মোকাবেলা করেছে। তখনও তারা ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে স্প্রে করেনি। যেটি আমেরিকার মায়ামিতে দেখেছি এখানে এসেও তাই দেখলাম, একই পদ্ধতি। তারা যাই করছে সব মেকানাইজ পদ্ধতিতে করছে। তারা বার বার বলছে, মেকানাইজ পদ্ধতির কথা, তাই আমরাও সে পদ্ধতি অনুসরণ করবো। আমাদের মশক দমনে আরো পরিবর্তন আনতে হবে।'
এরই মধ্যে ২০টি আধুনিক ভেকল মাউন্টেন মেশিন আনার কথা জানান ডিএনসিসি মেয়র।
মেয়র আরও বলেন, 'সুয়ারেজ লাইনকে তারা আন্ডারগ্রাউন্ড করে দিয়েছে। তারা বলছে, ময়লা পানির মধ্যে মশা বেশি জন্মে। আর খোলা সুয়ারেজের কারণে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। পয়ঃবর্জ্য লেকের পানিতে দেওয়া বন্ধ করতে হবে।'
এসময় তিনি বলেন, 'সিউল সিটি কমিউনিটিকে সংযুক্ত করে মশা দমন করে সফল হয়েছে। সবাই একসাথে কাজ করেছে তারা। মানুষকে সচেতন করছে। তাদের পদ্ধতি আমরা অনুসরণ করে ভালো ফলাফল পেতে পারি।'
বৈঠকে তারা কিভাবে অনলাইনে ট্রেড লাইসেন্স বাস্তবায়ন করেছে ও সিউল সিটি কিভাবে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় পুলিশের সাথে সমন্বয় করে কাজ করছে এসব বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল মেট্রোপলিটন গভর্নমেন্টের ডেপুটি মেয়র কিম ইউ সিয়াং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, ডিএনসিসি মেয়রের সিউল আগমনে ঢাকা ও সিউলের সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে।