বাংলাদেশে 'অবাধ ও সুষ্ঠু' নির্বাচনের গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি অব স্টেট ফর পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্স ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড বাংলাদেশে 'অবাধ ও সুষ্ঠু' নির্বাচনের গুরুত্ব এবং মানবাধিকার, শ্রম অধিকার ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষণাবেক্ষণে তাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
তিনি টুইটারে লিখেছেন, 'যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্ক গভীর করতে আমি পররাষ্ট্র সচিব মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনসহ মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছি। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার উদারতার জন্য আমরা বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানাই।'
তিনি দু'দেশের জনগণের মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশের অসাধারণ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও আরও উজ্জ্বল অর্থনৈতিক ভবিষ্যতের জন্য ইতিবাচক গতিপথের প্রশংসা করেন।
মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার জানান, আন্ডার সেক্রেটারি নুল্যান্ড রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান এবং দু'দেশের জনগণের মধ্যে দৃঢ় সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন।
২০২৩ সালের ৩ মে ওয়াশিংটন ডিসিতে নবম যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ অংশীদারিত্ব সংলাপের আয়োজন করে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি অব স্টেট ফর পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্স বৈঠকে যৌথভাবে সভাপতিত্ব করেন।
উভয়পক্ষই বিভিন্ন রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, পরিবেশগত এবং নিরাপত্তা ইস্যুতে ক্রমবর্ধমান অংশীদারিত্বের প্রতি তাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে।
পররাষ্ট্র সচিব স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ সুগম করতে নির্বাচন কমিশনের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ সম্পর্কে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
যুক্তরাষ্ট্র অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকারের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের সম্পৃক্ত করার উন্মুক্ততার প্রশংসা করে।