সরকারের প্রলোভন আন্দোলনকে বিভ্রান্ত করতে পারবে না: মির্জা ফখরুল
বিএনপি ঘোষিত ১০ দফা মেনে নিয়ে সরকারকে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, দেশের সাধারণ জনগণ এখন ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। সরকারের কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র, দমন, প্রলোভন এই আন্দোলনকে বিভ্রান্ত, বাধাগ্রস্থ করতে পারবে না। তাই সময় থাকতেই জনগণের মনোভাব বুঝে পদত্যাগ করতে হবে সরকারকে। অন্যথায় রাজপথে জনগণের দাবির ফয়সালা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, "২০১৮ সালে আমরা শেখ হাসিনার কথার উপর আস্থা রেখে নির্বাচনে গিয়েছিলাম, কিন্তু তারা তাদের কোনো প্রতিশ্রুতিই রাখেনি।"
তিনি অভিযোগ করেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার বিএনপির জাতীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দকে রাজনীতির মাঠ থেকে বিতাড়িত করার লক্ষ্যে পূর্বের দায়ের করা মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়ার চেষ্টা করছে। আইন মন্ত্রণালয় থেকে মামলার তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, গাজীপুরের একটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও বিএনপি নেতা-কর্মীদের উপর মামলা দিয়েছে। একতরফা বিভিন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার, নির্যাতন এবং বাড়ি-বাড়ি তল্লাশী অব্যাহত রেখেছে। সিলেটে বিএনপি নেতা-কর্মীদের গণহারে গ্রেফতার, বাসায় বাসায় তল্লাশী করছে।
"অন্যান্য বারের তুলনায় এবার অনেক আগে থেকেই গ্রেপ্তার, মামলা, হামলা শুরু করেছে; তাদের একটাই উদ্দেশ্য- নির্বাচনের আগে মাঠ খালি করা", বলেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি আরও বলেন, "বিএনপিসহ বিরোধী মতের দলগুলো এবং দেশবাসী যখন এই সরকারের অধীনে নির্বাচন না করা এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে, ঠিক সেসময় অবৈধ সরকারের মন্ত্রী এবং শাসকগোষ্ঠী জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য মিথ্যাচার ও অলীক কথাবার্তা বলছেন।"
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়সীমার বাইরে চলে গেছে, বিদ্যুতের অসহনীয় লোডশেডিং চলছে। ফলে এসএসসি পরিক্ষার্থীরা দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে, কৃষক সেচ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সেদিকে কোনো ভ্রুক্ষেপ না করে বিগত দিনের ন্যায় ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য বিরোধী মতের নেতা-কর্মীদের উপর বিভিন্ন কৌশলে নির্যাতন-নিপীড়ণ শুরু করেছে সরকার।