গণরুম বিলুপ্তির দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে জাবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান
গণরুম বিলুপ্তি, অছাত্রদের হল ত্যাগ ও মিনি-গণরুমে অবস্থান করা বৈধ ছাত্রদের আসন সুনিশ্চিত করার দাবিতে ৭২ ঘণ্টা ধরে অনশনরত সামিউল ইসলাম প্রত্যয়ের সাথে সংহতি জানিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।
প্রত্যয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলের আবাসিক ছাত্র ও ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের (৪৯তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী।
শনিবার সন্ধ্যা সাতটায় মীর মশাররফ হোসেন হলের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন তারা।
এ সময় বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক আলিফ মাহমুদ বলেন, 'আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হওয়া সত্ত্বেও শিক্ষার্থীদের আসন দিতে ব্যর্থ হচ্ছে প্রশাসন। ফলে গণরুম ও গেস্টরুমে শিক্ষার্থীরা র্যাগিংয়ের শিকার হচ্ছে। নতুন হল খোলার আল্টিমেটামের দুইমাস অতিবাহিত হওয়ার পরেও এখনো হলগুলো চালু করতে পারেনি প্রশাসন।'
গণরুম বিলুপ্তি, অছাত্রদের হল ত্যাগ ও মিনি-গণরুমে অবস্থান করা বৈধ ছাত্রদের আসন সুনিশ্চিত করার দাবিতে গত বুধবার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে সামিউল ইসলাম প্রত্যয় অনশন পালনের ঘোষণা দেন। ৭২ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত তাকে হলের সামনের মাঠে অবস্থান করতে দেখা গেছে।
গতকাল রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম, প্রক্টর আ.স.ম ফিরোজ-উল হাসান ও হল প্রভোস্ট প্রত্যয়ের সাথে সাক্ষাৎ করে তার সিটের ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিলেও তিনি অনশন ভাঙতে রাজি হননি। ৩ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক সাব্বির আলম বলেন, আমরা তার দাবিগুলোর সাথে একমত। আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে তার দাবিগুলো সমাধানের আশ্বাস দিয়েছি।
এ ব্যাপারে প্রভোস্ট কমিটির সভাপতি অধ্যাপক নাজমুল হাসান তালুকদার বলেন, আমি তার দাবিগুলোর সাথে সম্পূর্ণ একমত। একটি পূর্ণাঙ্গ আবাসিক হলে এমন সমস্যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমি বিষয়টি নিয়ে প্রভোস্টসহ হল কর্তৃপক্ষের সকলের সাথে আলোচনা করেছি। আমরা কখনোই চাই না বিশ্ববিদ্যালয়ে গণরুম থাকুক। আশা করছি আমরা খুব শীঘ্রই সমস্যাগুলোর সমাধান করতে পারব।
এ বিষয়ে জানতে চেয়ে মুঠোফোনে উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলমের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।