বাধা পেরিয়ে বাম্পার ফলন: কৃষকদের গোল্ডেন এ প্লাস
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার গোলাই গ্রামের তারেক বিন মাহতাব গত ফেব্রুয়ারিতে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড-এর সঙ্গে কথা বলার সময় জানিয়েছিলেন, তিনি বোরো ধানের ভালো ফলন আশা করছেন। প্রতি মণ ধান ১,১০০ টাকায় বিক্রি করার প্রত্যাশাও করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার আবারও টিবিএস-এর সঙ্গে আলাপকালে তার মুখে রাজ্যের হাসি দেখা গেল। সাত বিঘা জমি থেকে বাড়িয়ে ১০ বিঘায় বোরো চাষ করেছেন তিনি — ফলন হয়েছে বেশ।
এবার বিঘাপ্রতি ধান হয়েছে ২৩ থেকে ২৪ মণ। প্রতি মন বিক্রি করছেন ১,২৮০ টাকায়।
'আমাদের এক জমিতে দুইবার ধান ও একবার সরিষা উৎপাদন হয়। এ বছরের সব ধান এখনো বিক্রি করা হয়নি। এখন আউশ ধান রোপণের প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমনও চাষ করব,' বলেন তিনি।
তারেকের এ সাফল্য কোনো ব্যতিক্রম ঘটনা নয়। এ মৌসুমে সারাদেশেই বোরো ধানের বাম্পার ফলন দেখা গেছে। সরকারের ২১৫.৩৩৭ লাখ মেট্রিক টন বোরো উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ইতোমধ্যে ছাড়িয়ে গেছে।
দেশের অর্থনীতি যখন সবদিক থেকেই নজিরবিহীন চাপের মুখে, তখন ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে কৃষি। এ মৌসুমে কৃষকদের ভালো বোরো ফলন হয়েছে। এ ফলন প্রাথমিক পূর্বাভাসকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে।
ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতিতে মানুষ বর্তমানে নাকানিচুবানি খাচ্ছে, জ্বালানির অভাবে অনেক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ থাকায় প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে বোরো'র এমন ফলন দেশে খাদ্য নিয়ে দুশ্চিন্তা বেশকিছুটা কমাবে।
সার, জ্বালানি তেল ও বিদ্যুতের খরচ বেড়ে যাওয়া সত্ত্বেও কৃষকেরা এমন ফলন নিশ্চিত করতে পেরেছেন। এছাড়া তাদেরকে স্বল্পবৃষ্টি ও ঘূর্ণিঝড়ের ধাক্কা সইতে হয়েছে। কিন্তু করোনা মহামারির সময় বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়া ও সরবরাহ চেইনে বিশৃঙ্খলতার সময়ও যেমন দেশেরা কৃষকেরা ভালো ফলন উপহার দিয়েছিলেন, এবার আবারও সেটাই করে দেখালেন তারা।
এ বছরের এপ্রিল মাসে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেছিলেন, কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকলে ও যথাসময়ে ফসল তুললে এ বছর বোরো'র রেকর্ড ফলন হবে।
সৌভাগ্যবশত খুব খারাপ কিছু ঘটেনি।
তাপদাহের কারণে বোরো ধান সংগ্রহে সুবিধা হয়েছে, প্রচণ্ড তাপে ধান মাঠেই শুকিয়ে গেছে। অনুকূল আবহাওয়া পরিস্থিতির পাশাপাশি কীটপতঙ্গেরও বড় কোনো আক্রমণের ঘটনা ঘটেনি।
এ বছর ৪৯.৯৯৯ লাখ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করা হয়েছিল। তার মধ্যে ৯৯.০৮ শতাংশ জমির ধান ইতোমধ্যে সংগ্রহ করা হয়েছে। এ ধানের মোট পরিমাণ ২১৫.৩৩৭ লাখ মেট্রিক টন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস টিবিএসকে বলেন, 'বোরো'র ফলন ভালো হওয়ায় আমরাও একটু স্বস্তির অবস্থানে আছি। আমরা এখন আউশ ও আমনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। আউশের ১৪ লাখ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে এখন পর্যন্ত পাঁচ লাখ হেক্টর জমিতে ধান রোপণ করা হয়ে গেছে। শীঘ্রই আমরা আমনের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করব।'
তিনি বলেন, 'এবার আমন মৌসুমে বৃষ্টি কম হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে, যদি পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হয়, তাহলে আমরা পাম্প বসাব।'
বর্তমান দৃশ্যপট গত জুনের চেয়ে পুরোদস্তুর ভিন্ন। সে সময় মহামারির বিদায়ী রেশ, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা সরকারকে বাড়তি খাদ্য মজুতের চাপে ফেলেছিল।
তখন বাংলাদেশের চাল আমদানির অন্যতম উৎস ভারতও চাল রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছিল।
কিন্তু এবার সেই একই বীরেরাই — কৃষকেরাই — আবারও উদ্ধারে এগিয়ে এলেন।
যখন আর সব অর্থনৈতিক সূচক নিম্নমুখী, তখন দুর্দান্ত অবস্থানে রয়েছে কৃষিখাত।
বৃথা যায়নি পরিশ্রম
রাজশাহীর ৯টি উপজেলার মধ্যে কেবল গোদাগাড়ী উপজেলাতেই এ বছর ১৬ হাজার ৫৬০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের উৎপাদন হয়েছে ৮২ হাজার ৮১৩.৫ মেট্রিক টন।
এ উপজেলায় গড় ফলনের পরিমাণ প্রায় পাঁচ মেট্রিক টন।
গোদাগাড়ীর বেণীপুর গ্রামের কৃষক মাজহারুল ইসলাম জানান, এ বছর তিন বিঘা জমিতে তিনি বোরো ধান চাষ করেছিলেন।
বিঘাপ্রতি ২৫ মণ করে ধান হয়েছে তার। প্রতি মণের দাম পেয়েছেন ১,৩০০ টাকা করে।
তবে বাজারে এখন বোরো ধানের পাশাপাশি আরও ২৮ জাতের ধান ১,০৫০ থেকে ১,১০০ টাকা মণপ্রতি বিক্রি হচ্ছে। আর জিরা ধান বিক্রিতে মণপ্রতি পাওয়া যাচ্ছে ১,২০০ টাকা।
গোদাগাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মরিয়ম আহমেদ জানান, এ বছর গোদাগাড়ীতে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকেরা দামও ভালো পেয়েছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, এ বছর রাজশাহীতে ৬৮ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছিল।
ইতোমধ্যে ৯৫ শতাংশ জমির ধান কাটা হয়ে গেছে। উৎপাদন হয়েছে চার লাখ ৭৫ হাজার ২৯৩ মেট্রিক টন। গতবারের চেয়ে আবাদি জমি ও ফলন দুটোই বেড়েছে।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ উম্মে সালমা জানান, নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন ও নতুন প্রযুক্তির কারণে এবং কৃষকদের পরিচর্যার ফলে অল্প সময়ে ভালো ফসল উৎপাদন হয়েছে। আবার দামও ভালো পাচ্ছেন কৃষকেরা।
এদিকে কুমিল্লায়ও বোরো মৌসুমে জমি আবাদ ও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লা সূত্রে জানা গেছে, ২০২২-২০২৩ মৌসুমে জেলায় লক্ষ্যমাত্রা এক লাখ ৬০ হাজার ৮০০ হেক্টরের চেয়ে বেশি এক লাখ ৬১ হাজার ৪৫৩ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়।
এ জেলায় বোরো উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছয় লাখ ৮৯ হাজার মেট্রিক টন থাকলেও উৎপাদন তার চেয়ে ছয় হাজার মেট্রিক টন বেশি হয়েছে।
কুমিল্লার বুড়িচংয়ের রামপুর গ্রামের কৃষক ওমর ফারুক জানান, এবার রাইস ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রের মাধ্যমে কুমিল্লার অনেক এলাকায় ধানের আবাদ হয়েছে। এতে খরচ কম হয়েছে, উৎপাদনও বেড়েছে।
এছাড়া কৃষি অফিসের লোকজন মাঠ পর্যায়ে নিয়মিত তদারকি করেছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপপরিচালক ড. মিজানুর রহমান বলেন, এ বছর ধানের নতুন নতুন উচ্চ ফলনশীল জাতের আবাদ করা হয়েছে।
'আমরা মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে কৃষকদের কাছে বীজও সরবরাহ করি। ধানের আবাদ, রাসায়নিক পদার্থের পরিমিত ব্যবহার করাসহ নানা বিষয়ে তাদের প্রশিক্ষণ দিই। সরকার থেকে কৃষকদের প্রণোদনা দেওয়া হয়। সবকিছু মিলিয়ে কুমিল্লায় এবার ফলন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে,' বলেন তিনি।
একই দৃশ্য বগুড়াতেও। এ বছর এ জেলায় ফলন বেড়ে আট লাখ মেট্রিক টন হয়েছে।
জেলায় গতবার আমনের চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল এক লাখ ৮৩ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে। আবাদ হয়েছে এক লাখ ৮৩ হাজার ৪৫০ হেক্টরে। জয়পুরহাটে এবার পাঁচ লাখ ৫৫ হাজার ৮৬০ টনেরও বেশি চাল উৎপাদন হয়েছে।
পাবনাতেও ধানের উৎপাদন বেড়েছে। তবে জয়পুরহাটে এবার ফলন ৬১৮ মেট্রিক টন কম হয়েছে। অন্যদিকে সিরাজগঞ্জে বোরো'র ফলন বেড়েছে ১০৩ মেট্রিক টন।
এ বছর উত্তরের সব জেলাতেই বোরো'র বাম্পার ফলন হয়েছে। নওগাঁ সদরের ভীমপুর গ্রামের কৃষক গোলাম মোস্তফা এবার সাত বিঘা জমিতে চাষাবাদ করেছিলেন। তিনি জানান, আবহাওয়া ভালো থাকায় এবার প্রতি বিঘায় ৩০ মণের বেশি ফলন হয়েছে। গত বছর একই জমিতে ২৫ মণের মতো ফলন হয়েছিল।
যশোরেও ধানের ফলন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কিছুটা বেড়েছে। তবে কিছু কৃষক জানিয়েছেন, প্রচণ্ড তাপে বেশিরভাগ ধানে চিটা হয়ে গেছে।
বাধা কাটিয়ে উঠেছেন কৃষকেরা
কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ বছর সেচ ও সারের খরচ ও খরার হুমকির ফলে বোরো'র উৎপাদন ঝুঁকিতে পড়েছিল।
কিন্তু আগের তুলনায় বেশি জমিতে আবাদ হওয়ায় উৎপাদন বেড়েছে।
কৃষি-অর্থনীতিবিদ ও দ্য ইউনিভার্সিটি অভ গ্লোবাল ভিলেজ-এর সাবে উপাচার্য ড. জাহাঙ্গীর আলম টিবিএসকে বলেন, 'বীজের দাম, শ্রমিকের খরচ, বিদ্যুৎ ও ডিজেলের চড়ামূল্যের কারণে সেচের খরচ বৃদ্ধির পাশাপাশি সারের দাম দুইবার বেড়েছে। এছাড়া অনাবৃষ্টির আশঙ্কাও ছিল। তাই এ বছর বোরো'র ফলন ঝুঁকিতে ছিল।
'কিন্তু শেষ পর্যন্ত সব আশঙ্কা সত্ত্বেও ফলন ভালো হয়েছে। ভালো ফলনের কারণে চাল আমদানি নিয়ে কোনো চাপ থাকবে না।'
তিনি বলেন, গত আমন মৌসুমে কৃষকেরা ধানের ভালো দাম পেয়েছেন। ফলে তারা উৎসাহ পেয়েছেন। পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ে ফলন সংগ্রহের ক্ষেত্রে যান্ত্রিক প্রযুক্তির সুবিধা যথাযথভাবে নেওয়া হয়েছে।
মজুতে কমল চাপ
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, চলমান ডলার সংকট, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়ায় ব্যাহত আন্তর্জাতিক লেনদেন, রাজস্ব হ্রাস, রপ্তানি ও রেমিট্যান্সে ধীরগতি ইত্যাদি কারণে দেশের অর্থনীতি প্রায় সবদিক থেকেই বর্তমানে চাপের মুখে রয়েছে।
অর্থমন্ত্রণালয়ের এক নথিতে বলা হয়েছে কীভাবে ক্রমশ দুর্বল হওয়া টাকা সরকারের দেনা পরিশোধ, বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ ও ভর্তুকিতে খরচ বিপুল পরিমাণে বাড়িয়ে তুলতে পারে।
দেশের ভবিষ্যৎ খাদ্য পরিস্থিতি যখন যুদ্ধের কারণে অন্ধকারাচ্ছন্ন অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল, তখন বোরো'র এই বাম্পার ফলন একপ্রকার স্বস্তিই দিলো।
যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক খাদ্যশস্য সরবরাহ বিঘ্নিত হতে পারে, ফলে বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া বিশ্বের অনেক খাদ্য উৎপাদনকারী দেশের জন্য এখন নতুন উদ্বেগের বিষয় তীব্র আবহাওয়া।
একসময় দেশের অর্থনীতিতে কৃষির হিস্যা ছিল অর্ধেকের বেশি — এখন তা এক-পঞ্চমাংশের কিছু বেশিতে নেমে এসেছে। কিন্তু সংকটের সময় এই খাত বারবার তার গুরুত্ব প্রমাণ করেছে — এর আগে মহামারিকালে, এবার যুদ্ধের সময়।
বাম্পার ফলনের অর্থ হলো আগে থেকেই চাপে থাকা মজুতের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি হবে না।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন টিবিএসকে বলেন, 'বোরো উৎপাদন খুব ভালো হয়েছে; আমাদের সংগ্রহও জোরদার হচ্ছে। এই মুহূর্তে আমরা কোনো চাপ অনুভব করছি না বা আমদানি করার প্রয়োজন নেই।'
তিনি বলেন, যেহেতু গমের মজুত কম, তাই আগামী অর্থবছরে গম কতটা আমদানি করতে হবে তার পরিকল্পনা করা হবে।
লক্ষ্য এখন আউশে
বোরো'র চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার পর কৃষকেরা এখন আউশ চাষ করতে জমি প্রস্তুত করছেন।
বগুড়ায় এবার আউশ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ১৯ হাজার ৫৬০ হেক্টর। গত বছর জেলায় ১৬ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে আউশের চাষাবাদ করা হয়।
এবার পাবনায় ২৮ হাজার ২০০ হেক্টর এবং সিরাজগঞ্জে সাত হাজার ৭০ হেক্টর জমিতে আউশ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
শাজাহানপুরের জালশুকা গ্রামের কৃষক রেজাউল ইসলাম বলেন, আগে আউশের ধান কেবল বৃষ্টির পানিতেই চাষাবাদ করা যেত। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ার কারণে এখন মেশিন দিয়ে জমিতে সেচ দিতে হয়।
ইতোমধ্যে তিনি তার জমিতে আউশ রোপণ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভালো ফলনের আশাও করছেন এ কৃষক।
যশোর আঞ্চলিক কৃষি অফিসের উপ-পরিচালক মঞ্জুরুল হকও এবার আরও বেশি জমিতে আউশ ধান আবাদ করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন।
তবে লক্ষ্মীপুরে মাঠপর্যায়ে পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন। আউশের চাষও তেমন চোখে পড়ছে না এ জেলায়।
কুমিল্লায় চলতি মৌসুমে ৫০ শতাংশ জমিতে আউশ ধান রোপণ করা হচ্ছে। রাজশাহীতে এ বছর ৫২ হাজার ৬৩০ হেক্টর জমিতে আউশ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
যশোর জেলায়ও আউশ রোপণ শুরু হয়েছে। এ মৌসুমে জেলায় আউশ ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭ লাখ হেক্টর।
এ বছর আমন আবাদ ও উৎপাদন বাড়ানোর জন্য ৩৩ কোটি ২০ লাখ টাকার প্রণোদনা দেওয়া হবে।
সিলেটে এবার দু্ই লাখ ২৩ হাজার হেক্টর জমিতে আউশ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। আর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ ৮৮ হাজার মেট্রিক টন।
এ প্রতিবেদনটি তৈরিতে আমাদের প্রতিনিধি মো. হাবিবুর রহমান (রাজশাহী), মনোয়ার আহমেদ (যশোর), মো. তৈয়বুর রহমান (কুমিল্লা), মো. খোরশেদ আলম (বগুড়া) ও সানা উল্লাহ সানু (লক্ষ্মীপুর) তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন।