৩২ বছরে চট্টগ্রাম নগরের ১২০ পাহাড় বিলুপ্ত
১৯৭৬ থেকে ২০০৮ সালের মধ্যে চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচটি থানা এলাকার ১২০টি পাহাড় বিলুপ্ত করে ফেলা হয়েছে। নিশ্চিহ্ন করে ফেলা পাহাড়ের আয়তন ১৮ দশমিক ৩৪৪ বর্গকিলোমিটার, যা মোট পাহাড়ের প্রায় ৫৭ শতাংশ।
রোববার চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড় কাটা রোধে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানান বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সহযোগিতায় এ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি), বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) ও ফোরাম ফর প্ল্যান্ড চট্টগ্রাম (এফপিসি) মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের এক গবেষণার বরাতে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, '১৯৭৬ সালে চট্টগ্রাম নগরে মোট পাহাড় ছিল ৩২ দশমিক ৩৭ বর্গকিলোমিটার। ২০০৮ সালে সেটা কমে দাঁড়ায় ১৪ দশমিক ২ বর্গকিলোমিটার। নগরের বায়েজিদ, খুলশি, পাঁচলাইশ, কোতোয়ালি ও পাহাড়তলী থানা এলাকার ৮৮টি পাহাড় সম্পূর্ণ এবং ৯৫টি পাহাড় আংশিক কাটা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, 'সবচেয়ে বেশি ৭৪ শতাংশ পাহাড় কাটা হয়েছে পাঁচলাইশ এলাকায়। নগর উন্নয়নের নামে খোদ চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) প্রায় ২০টি পাহাড় কেটেছে।'
মতবিনিময় সভায় বক্তারা পাহাড় কাটা বন্ধে হট লাইন ও কমিউনিটি পুলিশিং চালুর দাবি জানান।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, 'পাহাড়কে যদি রক্ষা করতে হয়, প্রকৃতিকে যদি বাঁচাতে হয়, তবে এখনই পাহাড় কাটা বন্ধ করতে হবে। নগরে কতটি পাহাড় এখনো আছে তা চিহ্নিত করে সুরক্ষায় ব্যবস্থা নিতে হবে। এছাড়া পাহাড় না কেটে কিভাবে উন্নয়ন কাজ করা যায় সেভাবে পদক্ষেপ নিতে হবে।'