অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের মামলায় ডিআইজি মিজানের ১৪ বছরের কারাদণ্ড
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের দায়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সাময়িক বরখাস্ত পুলিশের ডিআইজি মিজানুর রহমানকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেছেন ঢাকার একটি আদালত।
বুধবার (২১ জুন) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর মঞ্জুরুল ইমামের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
এর আগে গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে দুদকের এক কর্মকর্তার সঙ্গে ঘুষ লেনদেনের আরেক মামলায় মিজানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার আরেকটি আদালত। সেই মামলায় তিনি কারাগারে আছেন।
বুধবারের রায়ে মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনা রত্না, ছোটভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগনে মাহমুদুল হাসানকে সাত বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এ দিন রায় ঘোষণার আগে ডিআইজি মিজানকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। জামিনে থাকা মিজানের ছোটভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগনে মাহমুদুল হাসান আদালতে উপস্থিত হন। তবে মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনা রত্না মামলার শুরু থেকে পলাতক রয়েছেন।
২০১৯ সালের ২৪ জুন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ বাদী হয়ে ডিআইজি মিজানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে তিন কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং তিন কোটি সাত লাখ পাঁচ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।
এ মামলায় ডিআইজি মিজানসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলায় ৩৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৭ জন সাক্ষ্য দেন।