গাজীপুরে হামলায় পোশাক শ্রমিক নেতার মৃত্যু, আহত ২
গাজীপুর মহানগরীর সাতাইশ বাগানবাড়ি এলাকায় হামলায় এক পোশাক শ্রমিক নেতার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও দুইজন আহত হয়েছেন।
মৃত শহীদুল ইসলাম (৫০) বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়ার্কার্স ফেডারেশন (বিজিআইডব্লিউএফ)-এর গাজীপুর শাখার সভাপতি ছিলেন।
এ ঘটনায় প্রিন্স জ্যাকার্ড সোয়েটার লিমিটেডে নামক একটি কারখানার ব্যবস্থাপকসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করা হয়েছে।
মামলার বাদী বিজিআইডব্লিউএফ-এর সভাপতি কল্পনা আক্তার মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, বেতন ও বোনাসের দাবিতে অসন্তোষ চলা অবস্থায় প্রিন্স জ্যাকার্ড সোয়েটার লিমিটেডে-এর শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা শেষে বের হওয়ার সময় কারখানার সামনে কয়েকজন ব্যক্তি শহীদুলের ওপর হামলা চালায়।
বুকে বারবার ঘুষি মেরে শহীদুলকে নিস্তেজ করে ফেলে দুর্বৃত্তরা। এরপর তাকে উদ্ধার করে গাছা থানার তায়রুননেছা মেমোরিয়াল মেডিকেল কলেজে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কল্পনার অভিযোগ, মালিকপক্ষের লোকেরা এ হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনার বিষয়ে জানতে কারখানার চেয়ারম্যান সায়েফ উদ্দীনের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি উত্তর দেননি।
শহীদুলের মৃত্যুর বিষয়টি টিবিএসকে নিশ্চিত করেছেন টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম। তিনি বলেন, এ ঘটনায় ইতোমধ্যে প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, দুই শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের মধ্যে মারামারিতে শহীদুল মারা গেছেন।
বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ)-এর সহ-সভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম টিবিএসকে বলেছেন, এ হামলায় মালিকপক্ষের কেউ জড়িত নয় বরং দুই শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের মধ্যে মারামারিতে শহীদুলের মৃত্যু হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, যেসব শ্রমিকের মে মাসের বেতন বা ঈদুল আজহার বেনাস বকেয়া ছিল, সেগুলো আদায় করতে শহীদুলকে ফোন করে কারখানায় নেওয়া হয়।
কারখানা থেকে বের হওয়ার সময় তার ওপর বেশ কয়েকজন ব্যক্তি হামলা চালায়। তাদের মধ্যে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও পাঁচজনকে অজ্ঞাতনামা হিসেবে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জে শ্রমিকরা বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন।