তিন মামলায় গ্রেপ্তার বগুড়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক
বিশেষ ক্ষমতা আইন ও বিস্ফোরকে আইনে করা পৃথক তিন মামলায় বগুড়ায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনা ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহবায়ক মাজেদুর রহমান জুয়েলকে বুধবার (১৯ জুলাই) ভোর রাতের দিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক তদন্ত মো. শাহিনুজ্জামান জানান, "গতকাল বিএনপির কর্মসূচি থেকে ব্যাপক তাণ্ডব চালানো হয়েছে। এই ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। বগুড়া সদর পুলিশ ফাঁড়িতেও তাণ্ডব চালিয়েছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। এই ঘটনায় আরও একটি মামলা হয়েছে। মামলায় অনেকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখন নাম প্রকাশ করা হবে না।"
পুলিশ জানায়, বগুড়ায় বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পৃথক চারটি মামলায় মোট ২১১ জনকে আসামি করা হয়েছে। বগুড়া সদর থানায় তিনটি ও দুপচাঁচিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
এদিকে, জেলা বিএনপির সভাপতি ও পৌর মেয়র রেজাউল করিম বাদশা অভিযোগ করেন, "রাত সাড়ে ৩ টার দিকে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনাকে শহরের সূত্রাপুরের বাসা থেকে ডিবি পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে। এর আগে রাত সোয়া ৩ টার দিকে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহবায়ক মাজেদুর রহমান জুয়েলকে পুরান বগুড়ার বাড়ি থেকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয়।"
"তাদের তুলে নেওয়ার পর সকাল ৯ টা পর্যন্ত পুলিশের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি। কিন্তু সকাল ১০ টার দিকে তারা গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন," যোগ করেন তিনি।
এর আগে মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) বগুড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগসহ নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার এক দফা দাবিতে বিএনপির পদযাত্রাকালে পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ১০ পুলিশ সদস্য ও শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মী আহত হন।
এছাড়া, পুলিশের ছোঁড়া টিয়ারশেলের ধোঁয়ায় ইয়াকুবিয়া স্কুলের ২৭ জন ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তারা চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছে।
জেলা বিএনপির উদ্যোগে শহরের মাটিডালি বিমানমোড় ও বনানী মোড় থেকে পৃথকভাবে দুইটি পদযাত্রা করে বিএনপি।
মাটিডালি থেকে শুরু হওয়া পদযাত্রায় নেতৃত্ব দেন জেলা বিএনপি সভাপতি ও বগুড়া পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম বাদশা। আর সংঘর্ষ সৃষ্টি হওয়া বনানী মোড় এলাকা থেকে পদযাত্রায় নেতৃত্ব দেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনা।