বাংলাদেশে নির্বাচনের সময় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনে ১৪ মার্কিন আইনপ্রণেতার চিঠি
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের সময় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের আহ্বান জানিয়েছেন ১৪ জন মার্কিন কংগ্রেস সদস্য। জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ডের কাছে এ আহ্বান জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন তারা।
মার্কিন আইনপ্রণেতা বব গুড, স্কট পেরি, আনা পলিনা-লুনা, জোশ ব্রেচেন, রাল্ফ নরম্যান, অ্যান্ড্রু ক্লাইড, এলি ক্রেন, কোরি মিলস, পল এ গোসার, ডগ লামালফা, রনি এল জ্যাকসন, র্যান্ডি ওয়েবার, ব্রায়ান বেবিন এবং গ্লেন গ্রথম্যান এই চিঠিতে সাক্ষর করেন।
চিঠিতে বলা হয়, '(আমরা আহ্বান জানাই যে) জাতিসংঘ, সারা বিশ্বের নিরপেক্ষ সরকারের সাথে একত্রিত হয়ে যেন বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন তত্ত্বাবধান ও পরিচালনায় অংশগ্রহণ করে। ভোটারদের ভয়ভীতি, হয়রানি বা আক্রমণ প্রতিরোধে শান্তিরক্ষী বাহিনী নিয়োজিত করা উচিত।'
কংগ্রেস সদস্য বব গুড টুইট করে বলেন, 'একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন বাংলাদেশের জনগণের প্রাপ্য। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারের সহিংসতার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আমি আমার ১৩ সহকর্মীকে নিয়ে জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে একটি চিঠি পাঠিয়েছি।'
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, 'শেখ হাসিনার সরকার পেশীশক্তি ব্যবহার করে জনগণকে সুষ্ঠু নির্বাচনের অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মানবাধিকার কর্মীদের কাজকে বাধাগ্রস্ত করছে।'
মানবাধিকার লঙ্ঘনের মামলার তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সদস্যদের শান্তিরক্ষা মিশনে মোতায়েন করা থেকে বিরত রাখতে রাষ্ট্রদূতের প্রতি আহ্বান জানান তারা।
চিঠিতে বলা হয়েছে, র্যাবের বিরুদ্ধে ওঠা অপব্যবহারের মধ্যে রয়েছে নির্যাতন, জোরপূর্বক গুম এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড। অবিলম্বে যেগুলোর বিরুদ্ধে নিন্দা জানানো উচিত।
চিঠিতে মার্কিন কংগ্রেস সদস্যরা বলেছেন, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সরকারের অপরাধের তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত জাতিসংঘের উচিত অবিলম্বে মানবাধিকার কাউন্সিলে বাংলাদেশের সদস্যপদ স্থগিত করা।
এর আগে ১৪ জুন, ৬ কংগ্রেস সদস্য মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতে বাইডেন প্রশাসনের উদ্যোগের আহ্বান জানান।
তার আগে ৪ জুন, ৬ মার্কিন কংগ্রেসম্যান বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আনেন এবং প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে বাংলাদেশে অবাধ ও নিরপেক্ষ সংসদ নির্বাচনের সুযোগ তৈরি করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।