জরায়ুমুখের ক্যান্সার প্রতিরোধে ১০-১৪ বছর বয়সী মেয়েদের টিকাদান শুরু সেপ্টেম্বরে
জরায়ুমুখের ক্যান্সার প্রতিরোধে দেশে ১০-১৪ বছর বয়সী মেয়েদের হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে এই টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
সোমবার (৭ আগস্ট) দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, "নারীদের ক্যান্সারজনিত মৃত্যুর অন্যতম কারণ হলো জরায়ুমুখের ক্যান্সার। ন্যাশনাল ইমিউনাইজেশন টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ অফ এক্সপার্টের সিদ্ধান্ত অনুসারে একডোজ হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) ভ্যাকসিন সার্ভিক্যাল ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকরী হতে পারে।"
তিনি আরও জানান, এই টিকা স্কুলগুলোতে বিনামূল্যে দেওয়া শুরু হবে। ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী সব মেয়েদের পর্যায়ক্রমে এই টিকাদান কর্মসূচির আওতায় আনা হবে।
মন্ত্রী বলেন, "এই মুহূর্তের আমাদের হাতে ২৩ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন আছে। প্রথম পর্যায়ে ঢাকায়, দ্বিতীয় পর্যায়ে চট্টগ্রাম ও বরিশালে দেওয়া হবে। এরপর সারাদেশে দেওয়া হবে। নভেম্বরে আরও ২০ লাখ এবং ডিসেম্বরে ১২ লাখ টিকা পাওয়া যাবে।"
"আগামী বছরে ৪২ লাখ টিকা এবং ২০২৫ সালে ২৩ লাখ টিকা পাওয়া যাবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই টিকা আমাদের দেবে," যোগ করেন তিনি।
বর্তমানে ক্যান্সারের সবচেয়ে মারাত্মক ধরনগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে জরায়ুমুখের ক্যান্সার। এই ক্যান্সারে বাংলাদেশে বছরে আনুমানিক ২৭,০০০ নারী আক্রান্ত হন, যাদের মধ্যে ৬,৫৮২ জনই মারা যান।
জরায়ুমুখের ক্যান্সার ও এই সম্পর্কিত রোগ এবং মৃত্যু হ্রাস এই টিকা দেওয়া উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।