বেসিক ব্যাংকের সাবেক ৪ এজিএমকে যেকোনো সময় গ্রেপ্তার করতে পারবে দুদক: আপিল বিভাগ
বহুল আলোচিত বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারির ২০ মামলার চার আসামিকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।
আইনজীবীরা জানিয়েছেন, এ আদেশের ফলে চার আসামিকে যেকোনো মুহূর্তে গ্রেপ্তার করতে পারবে দুদক।
চার কর্মকর্তা হলেন- বেসিক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সাবেক এজিএম সাদিয়া আক্তার শাহীন ও মো. জালাল উদ্দিন, গুলশান শাখার এজিএম রুমানা আহাদ এবং মতিঝিল লোকাল অফিসের এজিএম এএসএম আনিসুর রহমান।
২০ মামলার মধ্যে সাদিয়া আক্তার ২০টিতে, রুমানা আহাদ ১৩টিতে এবং জালাল উদ্দিন ও আনিসুর রহমান ১৮টি মামলায় চার্জশিটভুক্ত আসামি।
এই চারজন গত ২ আগস্ট হাইকোর্টে জামিন আবেদন করলে, পরের দিন ৩ আগস্ট বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ তাদেরকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পনের আদেশ দেন। একইসাথে তাদের যেন গ্রেপ্তার ও হয়রানি না করা হয়, সেই আদেশও দেন আদালত।
হাইকোর্টের আদেশ বাতিল চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (৯ আগস্ট) সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে চেম্বার জজ বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন।
এর আগে, বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারির ঘটনায় ৫৯টি মামলার অভিযোগপত্র প্রস্তুত হয়ে আদালতে দাখিল করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) সেই অভিযোগপত্র আমলে নেওয়ার বিষয়ে ঢাকার বিচারিক আদালতে শুনানির দিন ধার্য আছে।
এর আগে, গত ১৪ জুন 'বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারির অনেকেই পালিয়ে গেছেন' শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে ২০টি মামলায় আগাম জামিন চেয়ে গত ২ আগস্ট হাইকোর্টে পৃথক আবেদন করেন ওই চার কর্মকর্তা।
গত ২ আগস্ট জামিন আবেদন শুনানির জন্য উঠলে হাইকোর্টকে দুদকের আইনজীবী জানান, অভিযোগপত্র হয়ে গেছে। হাইকোর্ট দুদকের আইনজীবীকে মামলার অভিযোগপত্র ৩ আগস্ট উপস্থাপন করতে বলেন। এরই ধারাবাহিকতায় অভিযোগপত্র উপস্থাপন করা হয়।
আগাম জামিন আবেদনের শুনানি থাকায় ওই চার কর্মকর্তা আদালতে হাজির হলে তাদেরকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমার্পনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান ও জামিন আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ এম মাছুম।