বিএসএমএমইউয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় যুদ্ধাপরাধী সাইদীর ছেলেসহ ৫ হাজার জনের বিরুদ্ধে মামলা
রাজধানীর বন্ধুবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) এবং শাহবাগ মোড়ে হামলা ও ভাংচুরের সাথে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে মাসুদ সাঈদী ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর তিন নেতাসহ অজ্ঞাতনামা পাঁচ হাজার ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
এর আগে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মরদেহ পিরোজপুরে নিয়ে যাওয়ার সময় হামলার ঘটনা ঘটে।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)-র উপ-কমিশনার মো. ফারুক হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, পুলিশের দায়িত্বপালনে বাধা দেওয়া ও যানবাহনে আগুন দেওয়ার ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে শাহবাগ থানায় এ মামলা করা হয়।
মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন, জামায়াতের সহকারী মহাসচিব হামিদুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ওরফে মাসুদ, ঢাকা মহানগর জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম ও সাঈদীর ছেলে মাসুদ সাঈদী।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সোমবার রাতে বিএসএমএমইউ থেকে সাইদীর মরদেহ পিরোজপুরে নেওয়ার সময় জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা পুলিশীর ওপর হামলা করে। তাঁরা বিএসএমএমইউর ভেতরে সরকারি স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ করে ক্ষতিসাধন করে।
এতে আরো বলা হয়, হামলাকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল ছুঁড়লে, কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। এ সময় পুলিশের গাড়ি, মোটরসাইকেল, সাঁজোয়া যানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা।
ফারুক হোসেন বলেছেন, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে সাইদীর গায়েবানা জানাজার নামাজ পড়াকে কেন্দ্র করে সেখানে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের ওপর জামায়াতের নেতা-কর্মীরা হামলা করে। এই ঘটনায় পল্টন থানায় জামায়াতের ১৬ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ১৫০ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করা হয়েছে।