বাংলাদেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ভারতের কূটনৈতিক বার্তা দুর্ভাগ্যজনক: ফখরুল
বাংলাদেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে ভারতের কূটনৈতিক বার্তা দেওয়ার খবর সত্য হলে তা দুর্ভাগ্যজনক এবং এ অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য ভালো হবে না বলে আজ (১৯ আগস্ট) মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ভারত ব্যবস্থা নিলে তা দুঃখজনক হবে।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারত হস্তক্ষেপ করছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ভারতের মতো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের কাছ থেকে এটা আশা করা যায় না।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে 'শেখ হাসিনাকে দুর্বল করলে সবার সবার ক্ষতি' এমন সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার কথা উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, 'আমরা আশা করি ভারত বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে সম্মান জানাবে। পাশাপাশি তারা সব দলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সমর্থন দেবে।'
তিনি আরও বলেন, 'বাংলাদেশে কোনো মৌলবাদী দলের ক্ষমতায় আসার কোনো আশঙ্কা নেই। আমি বাংলাদেশের জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করি।'
এর আগে শুক্রবার (১৯ আগস্ট) জার্মানভিত্তিক ডয়চে ভেলে (ডিডব্লিউ) এবং ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটনকে বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে যে 'বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান ভূমিকায় ভারত খুশি নয়। বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকার দুর্বল হলে তা ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র কারও পক্ষেই ভালো হবে না বলে মনে করে ভারত।'
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ব্যুরোর সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ১১ থেকে ১৪ জুলাই ঢাকা সফর করেন।
সফরের পর উজরা জেয়া বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে সহিংসতা ত্যাগ করে সত্যিকারের শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সমর্থন করার আহ্বান জানান, যা বাংলাদেশের জনগণকে তাদের নিজস্ব নেতা বেছে নিতে দেবে।
গত ২৭ জুলাই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের সময় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ডের কাছে চিঠি পাঠান ১৪ জন মার্কিন কংগ্রেস সদস্য।
এর আগে গত ২৫ মে-ও ৬ জন রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান এক চিঠিতে বাংলাদেশ সরকার সম্পর্কে বিভিন্ন নেতিবাচক মন্তব্য উল্লেখ করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে অনুরোধ করেন।