চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে মালিবাগে শ্রমিকদের অবরোধ, রেল চলাচল বন্ধ
চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে রাজধানীর মালিবাগ রেললাইন অবরোধ করেছেন অস্থায়ী রেল শ্রমিকরা। এতে ঢাকার সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে মালিবাগ রেললাইন অবরোধের পর এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (বেলা ১২টা) ঢাকা থেকে তারাকান্দি যাওয়া অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস, জামালপুর এক্সপ্রেস ও একটি লোকাল ট্রেন কমলাপুর স্টেশন থেকে ঠিক সময়ে ছাড়তে পারেনি; স্টেশনে আটকে আছে ট্রেনগুলো।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "সকাল সাড়ে ১০টার পর থেকে এখন পর্যন্ত আমাদের তিনটি ট্রেন আটকে আছে; কয়েক হাজার যাত্রীও আটকে আছেন।"
রেলের উপরস্থ কর্মকর্তারা আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে তাদেরকে আন্দোলন থেকে বিরত করার চেষ্টা করছেন বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সবুজবাগ জোনের সহকারী কমিশনার শোভন চন্দ্র জানান, এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে শ্রমিকরা মালিবাগ এলাকায় রেললাইন দখল করে রেখেছে।
"পুলিশ তাদের সরানোর চেষ্টা করছে; আলোচনা এখনও চলছে," যোগ করেন তিনি।
এদিকে, সকাল ১০টায় কমলাপুর থেকে কিশোরগঞ্জগামী এগারো সিন্ধুর ট্রেনটি আটকে দেওয়া হলে ঢাকার সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
শ্রমিক প্রতিনিধি মোহাম্মদ হোসেন বলেন, সরকারী গেজেট বাস্তবায়নের মাধ্যমে চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে রেলপথ মন্ত্রী, রেলওয়ে সচিব ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার গিয়েও কোনো সমাধান পাননি তারা। এর পরিপ্রেক্ষিতে অস্থায়ী শ্রমিকদের অবস্থান কর্মসূচি ও হাজারো শ্রমিকের বিক্ষোভ চলছে।
রেলওয়েতে নিয়োগ পাওয়া অস্থায়ী শ্রমিকদের (টিএলআর) চাকরি ফেরত দেওয়া, স্থায়ীকরণ, আউটসোর্সিং প্রথা বাতিল এবং নিয়োগবিধি ২০২০ সংশোধন করে আগের মতো চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাস বহাল রাখার দাবিতে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শ্রমিকরা।
এর আগে, চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে হঠাৎ করেই গত ১৬ জুলাই রেলের অস্থায়ী কর্মীরা ট্রেন আটকে রাজধানীর এফডিসি রেলগেটে রেললাইনের ওপর অবস্থান নিয়ে আন্দোলন শুরু করেন। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেনের আশ্বাসে আন্দোলনকারীরা রেললাইন থেকে অবস্থান তুলে নেন।