ডলার সংকট কমাতে রপ্তানিকারকদের ডলার ধরে রাখার সীমা ৫০% কমিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
আন্তঃব্যাংক মার্কেটে ডলার সংকট কমাতে ও ডলার প্রবাহ বাড়াতে রপ্তানিকারকদের ডলার ধরে রাখার সীমা ৫০% কমিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এতদিন পণ্য রপ্তানিকারকরা তাদের প্রত্যাবর্তিত রপ্তানি আয়ের ৬০% পর্যন্ত ধরে রাখতে পারতো। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, এখন থেকে তারা ৩০% অর্থ ধরে রাখতে পারবেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ম অনুসারে, রপ্তানিকারকরা তাদের প্রত্যাবর্তিত রপ্তানি আয়ের একটি অংশ ইআরকিউ অ্যাকাউন্টে রাখতে পারেন। সে অর্থ দিয়ে তারা কাঁচামাল কিনতে ও আমদানি অর্থ প্রদান করতে পারেন।
ন্যাপথা, ফার্নেস অয়েল, বিটুমিন, আমদানিকৃত কাপড় দিয়ে বানানো তৈরি পোশাক, ইলেকট্রনিক পণ্য এবং আরও অনেক কিছুর জন্য রপ্তানি আয় ধরে রাখার পরিমাণ আগের ১৫% থেকে কমিয়ে ৭.৫% করা হয়েছে।
আইটি সেক্টরের বেলায় এ সীমা ৩৫% রাখা হয়েছে, যা এতদিন ছিল ৭০%।
ব্যাংকাররা বলেন, রেমিট্যান্স আয় ও প্রবাসীদের রপ্তানি আয়ের তুলনায় আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমছে। যার কারণে মার্কেটে ডলারের ফ্লো কমে এসেছে। তাই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে টিবিএসকে বলেন, "ইআরকিউ অ্যকাউন্টের লিমিটি কমানো হয়েছে মার্কেটে ডলারের ফ্লো বাড়ানোর জন্য। রপ্তানিকারকরা ডলার এনক্যাশমেন্ট করতে বাধ্য হবে যার ফলে ডলারের ফ্লো বাড়বে।"
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ইআরকিউ অ্যকাউন্টে ডলার রয়েছে প্রায় ৭০০ মিলিয়ন। এই সার্কুলারের ফলে অর্ধেক ডলার এনক্যাশমেন্ট করতে হবে যার ফলে মার্কেটে বেশ কিছু ডলার চলে আসবে।
বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম টিবিকে বলেন, "এটা রপ্তানিকারকদের জন্য বড় দূঃসংবাদ। যা মার্কেট ডাইভারসিফেকেশন প্রভাব ফেলবে।"
"বর্তমানে নতুন বাজারে আমাদের রপ্তানি প্রায় ২৩%, তবে এ সিদ্ধান্তের ফলে এই গ্রোথ ব্যহত হবে," বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, "কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কোন ধরনের আলোচনা ছাড়া এমন সিদ্ধান্ত নেওয়াটা উচিত হয়নি।"