অবশেষে চট্টগ্রামের হাতি শাবকটির ঠাঁই হলো বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে
দলে ফেরাতে না পেরে চট্টগ্রামের বাঁশখালী এলাকার লোকালয়ে চলে আসা হাতি শাবকটিকে অবশেষে কক্সবাজারের চকরিয়ায় ডুলহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে পাঠানো হয়েছে।
বাঁচিয়ে রাখতেই শাবকটিকে সাফারি পার্কে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে বন বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) রাতেই ১৫ থেকে ২০ দিন বয়সী হাতির শাবকটিকে চট্টগ্রামের বাঁশখালীর পাইরাং বন সংলগ্ন লোকালয় থেকে সাফারি পার্কে পাঠানো হয়। কিন্তু বিষয়টি জানাজানি হয় এর পরের দিন, শুক্রবার।
কাদায় আটকে পড়া শাবকটি মানুষের সেবায় মোটামুটি সুস্থ হওয়ার পরও ফিরিয়ে নিচ্ছিলো না হাতির পাল। দুইবার তাকে দলে ফেরাতে চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় বন বিভাগ।
শাবকটিকে শেষমেশ কক্সবাজারে সাফারি পার্কে পাঠানোর সিদ্ধান্তের পেছনে লোকালয়ে হাতির পালের হানার শঙ্কাকে তুলে ধরে বন বিভাগ। তাদের মতে, লোকালয়ে শাবকটি থাকার কারণে হাতির পাল সেখানে হামলা করার আশঙ্কা ছিল।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম চৌধুরী টিবিএসকে বলেন, "শাবকটিকে দেখতে সেখানে দিনে রাতে উৎসুক জনতা ভীড় করছিল।"
"হাতির দল আশেপাশে মানুষের উপস্থিতি টের পেয়ে যেকোন সময় উত্তেজিত হয়ে উঠতে পারে। তখন মানুষের জানমালের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। তাই সবদিক বিবেচনা করে আমরা হাতি শাবকটিকে সাফারি পার্কে নিয়েছি," বলেন তিনি।
চট্টগ্রামের বাঁশখালী সরল ইউনিয়নের পাহাড়ি পাইরাং বনে পাঁচদিন আগে কাদা পানিতে আটকে থাকা অবস্থায় শাবকটিকে দেখতে পায় স্থানীয়রা।
যেদিন তাকে উদ্ধারের চেষ্টাও করেছিল পালের অন্য হাতিরা। ব্যর্থ হয়ে ফিরে যাওয়ার পর স্থানীয়রা শাবকটিকে উদ্ধার করে বনে ছেড়ে দিয়ে আসে। তবে, বিকেলের দিকে শাবকটি পার্শ্ববর্তী লোকালয়ে চলে আসে।
শাবকটির সেসময় ১০৩ ডিগ্রি জ্বর ছিল। পরে তাকে অ্যান্টিবায়োটিক ইনজেকশন দেওয়া হয়। এরপর দুই দফা রাতে হাতির পালের কাছাকাছি দিয়ে এলেও সকালে দেখা যায় তাকে ফেলে রেখেই চলে গেছে অন্যরা।
বন বিভাগের ধারণা, 'মানুষের সংস্পর্শে আসায়' অন্য হাতিরা শাবকটিকে আর নিতে চায়নি।