পরিবার নিয়ে ঢাকায় ফেরা হলো না সুজনের
স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছিলেন ময়মনসিংহের নান্দাইলের সুজন মিয়া (৩৫)। কিন্তু ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘনায় চারজনেরই মৃত্যু হয়েছে। তার স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠেছে হাসপাতালের পরিবেশ। সুজন ছাড়া নিহতরা হলেন- স্ত্রী ফাতেমা (৩০) এবং দুই ছেলে সজীব (১৪) ও ইসমাইল (১০)।
ভাইয়ের মরদেহ দেখতে এসে বারবার জ্ঞান হারাচ্ছিলেন সুজনের ভাই মিজান মিয়া। ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে সুজন ও তার স্ত্রী এবং দুই সন্তানের মরদেহ।
ট্রেন দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া নিহত সুজনের আরেক ভাই ভাই স্বপন মিয়া জানান, তারা তিনভাই ঢাকায় থাকেন। একটি বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য গত শুক্রবার গ্রামের বাড়িতে এসেছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে সবাই এগারোসিন্ধু ট্রেনে করে ঢাকায় ফিরছিলেন।
স্বপন বলেন, "ট্রেনটি ভৈরব রেল স্টেশনের আউটার অতিক্রম করার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা কনটেইনার ট্রেনটি সিগন্যাল অমান্য করলে আমাদের ট্রেনের সাথে সংঘর্ষ বাধে। এতে মুহূর্তে ছিটকে পড়ে আমাদের বগি। আমি বেঁচে গেলেও আমার ভাই ও তার স্ত্রী-সন্তান পরিবারের চারজন ঘটনাস্থলে মারা যায়।"
সোমবার বিকেল পৌনে ৪টায় ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনের আউটারে ঢাকাগামী এগারোসিন্ধু ট্রেনের সঙ্গে চট্টগ্রামগামী কনটেইনার ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। এতে এগারোসিন্ধু ট্রেনের দুইটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এ ঘটনায় ট্রেনের ১৭ জন যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া আহত শতাধিক যাত্রীদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।