রামুর গহীন পাহাড়ে বাচ্চা হাতির মরদেহ
কক্সবাজারে রামুর গহীন পাহাড়ে একটি বাচ্চা হাতির মরদেহ পাওয়া গেছে। মৃত্যুর কারণ হিসেবে বনবিভাগের পক্ষ থেকে নিশ্চিত কিছু জানা না গেলেও, বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে প্রাণীটিকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করছে স্থানীয় ও পরিবেশবাদী সংগঠকরা।
মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে রামু উপজেলার পানের ছড়ার হোয়ারিয়ঘোনার পাহাড়ে এই বাচ্চা হাতির মরদেহটি দেখতে পেয়ে বনবিভাগকে খবর দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারস্থ দক্ষিণ বনবিভাগীয় কর্মকর্তা সরওয়ার আলম।
তিনি জানিয়েছেন, ৭-৮ বছরের বাচ্চা হাতিটি মাদি। প্রাথমিকভাবে খাদ্যে বিষক্রিয়াজনিত কারণে এটি মারা যেতে পারে। আবার অনেকেই বলছেন বৈদ্যুতিক তারে এটিকে হত্যা করা হয়েছে। তবে তার লক্ষণ পাওয়া যায়নি। হাতির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এসব নমুনা ঢাকা পাঠানো হচ্ছে। নমুনার প্রতিবেদন হাতে আসলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। দুপুরের পর হাতিটি মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়েছে।
এদিকে পরিবেশ বিষয়ক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এনভায়রনমেন্ট পিপলের প্রধান নির্বাহী রাশেদুল মজিদ জানিয়েছেন, হাতিটির বিষয়ে স্থানীয় লোকজনের সাথে তিনি আলাপ করেছেন। স্থানীয়রা বলছেন, রাতে বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে হত্যাটি হত্যা করা হয়েছে। এটি একটি এশিয়ান হাতি।
তিনি বলেন, "হাতি হত্যা অপরাধ। বনবিভাগ প্রায়শ হাতির মৃত্যুর পর নানা অজুহাতে প্রকৃত সত্য প্রকাশ করে না। অনেকক্ষেত্রে হত্যায় জড়িতের সাথে যোগাযোগ করে অর্থ নিয়ে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন। হাতি হত্যায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দিলে এটা বন্ধ করা যাবে না।"