ঝালকাঠি বিএনপির সদস্য সচিবের চেম্বার ভাঙচুর, ১৮ নেতাকর্মী আটক
ঝালকাঠি জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাৎ হোসেনের আইনজীবী চেম্বারে হামলা ও ভাঙচুর করেছে দুবৃত্তরা। এ সময় তার চেম্বারের সামনে থাকা দুটি মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করা হয়।
বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, রবিবার (২৯ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে শহরের মহিলা কলেজ সড়কে বিএনপির সদস্য সচিবের বাসভবনের নিচতলার আইনজীবী চেম্বারটিতে ভাঙচুর করে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এসময় ঘটনাস্থল থেকে বিএনপির তিন নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
বিএনপি নেতারা জানান, রোববার সকালে শাহাদাৎ হোসেন চেম্বারের কাজ শেষে আদালতে যান। কিছুক্ষণ পরেই যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এসে লাঠিসোটা নিয়ে তার আইনজীবী চেম্বারে হামলা ও ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ সময় চেম্বারের ভেতর থেকে সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জুবায়ের হোসেন, বিএনপির মিডিয়াসেলকর্মী আরিফ হোসেন ও বিএনপি সমর্থিত আইনজীবী মো. তুষারকে আটক করে করে থানায় নিয়ে যায়।
জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তরুন কর্মকার জানান, বিএনপির নৈরাজ্য ও হরতালের প্রতিবাদে ঝালকাঠিতে শান্তি মিছিল ও সভা করেছে জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন। রোববার সকালে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে শহরের ফায়ার সার্ভিস মোড়ে জড়ো হয়। মিছিল নিয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে ফায়ার সার্ভিস মোড়ে অনুষ্ঠিত হয় শান্তি সমাবেশ।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাৎ হোসেন অভিযোগ করে জানান, সকালে হরতালের সমর্থনে মিছিলের প্রস্তুতি নিলে তার ওপর হামলা চালিয়ে ল' চেম্বারে ভাঙচুর করা হয়। কয়েকটি জানালার গ্লাস ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।
পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল জানিয়েছেন, নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে জেলার সদর উপজেলা থেকে ৩ জন, রাজাপুরে ৬, নলছিটিতে ৫ ও কাঠালিয়ায় ৪ জনসহ বিএনপির মোট ১৮জন নেতাকর্মীকে গতকাল শনিবার রাত থেকে অভিযান চালিয়ে আটক করে পুলিশ।
তিনি আরও জানান, রোববার সকালে বিএনপি মহিলা কলেজ এলাকায় হরতালের সমর্থনে মিছিল বের করার চেষ্টা করলে তা নিবৃত্ত করে দেওয়া হয়। জেলার কোথাও হরতালের কোনো প্রভাব নেই। জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ টহলে রয়েছে।
সারা দেশে আজ রোববার বিএনপির ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালে জেলার চার উপজেলার কোথাও তেমন কোনো প্রভাব লক্ষ্য করা যায়নি। তবে বিএনপির কোনো কর্মকাণ্ড না থাকলেও হরতালের বিপক্ষে শান্তি মিছিল ও সভা করেছে জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন। জেলায় সর্বত্র যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। হরতালের সমর্থনে কোথাও বিএনপির কোনো মিছিল পিকেটিংয়ের খবর পাওয়া যায়নি। শহরের মোড়ে মোড়ে পুলিশ কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেছে।