কারাগারের বাইরে থাকা বিএনপির সর্বশেষ ব্যক্তিটি আন্দোলনের নেতৃত্ব দিবে: রিজভী
গত রাত ১টায় গুলশানের একটি বাসা থেকে বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গোয়েন্দা পুলিশ কর্তৃক গ্রেপ্তারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি'র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে বিএনপি'র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, "বিএনপির নেতৃত্বকে দুর্বল করা যাবে না। কারাগারের বাইরে থাকা বিএনপির সর্বশেষ ব্যক্তিটি আন্দোলনের নেতৃত্ব দিবে।"
"আন্দোলনের মাধ্যমেই সরকারের পদত্যাগসহ নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করতে জনগণ সংকল্পবদ্ধ। আর অচিরেই এ অবৈধ সরকারের পতন হবে," বলেন তিনি।
রিজভী বলেন, "দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন একতরফাভাবে অনুষ্ঠিত করে আবারও রাষ্ট্রক্ষমতা কুক্ষিগত করার পাঁয়তারা শুরু করেছে আওয়ামী সরকার। এই হীন উদ্দেশ্যকে চরিতার্থ করার লক্ষ্যে বিএনপি'র শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে কারান্তরীণ করার ঘৃণ্য খেলায় মেতে উঠেছে তারা।"
"বিএনপিকে নেতৃত্বশূন্য করতেই ফ্যাসিস্ট শাসকগোষ্ঠী বিএনপি'র জাতীয় নেতৃবৃন্দকে ধারাবাহিকভাবে গ্রেপ্তার করে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, সরকার আদালতের মাধ্যমে বিএনপি'র গ্রেপ্তারকৃত জেষ্ঠ্য নেতৃবৃন্দকে ৮/১০ দিন করে রিমান্ডে নিয়ে অকথ্য নির্যাতন করা হচ্ছে।"
তিনি বলেন, "বর্তমান শাসকগোষ্ঠী বিএনপি'র নেতৃত্বে চলমান অবরোধ কর্মসূচিতে ভীত হয়ে পড়েছে বলেই হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে। সরকার ভাবছে-এভাবে গ্রেপ্তার, রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন এবং জুলুম চালালে বিএনপির আন্দোলন স্তব্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু সরকারের উদ্দেশ্যে বলতে চাই-বিএনপি দেশের বৃহৎ এবং জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল, এই দলটির সাথে জনগণ রয়েছে, কাজেই আন্দোলন দমানোর জন্য সরকারের কোন কৌশলই সফল হবে না।"
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অবিলম্বে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নিঃশর্ত মুক্তির জোড় আহবান জানান।
গত রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে রাজধানীর গুলশান থেকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ।
২৮ অক্টোবর (শনিবার) নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে দলটির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের পর থেকে এই গ্রেপ্তার অভিযান চলছে।
গত রোববার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেপ্তার করে ওই ঘটনায় দায়ের করা একটি মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার করা হয়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকেও।