আ.লীগ, বিএনপি, জাপাকে শর্তহীন সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়ে ডোনাল্ড লু-র চিঠি
দেশের প্রধান তিন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিকে 'কোনো শর্ত ছাড়াই সংলাপে' বসার আহ্বান জানিয়ে চিঠি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর পাঠানো ওই চিঠিতে 'অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে' বলে উল্লেখ করা হয়েছে বাংলা সংবাদপত্র প্রথম আলোর এক প্রতিবেদনে।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক জানিয়েছেন, ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস তাদের কাছে চিঠিটি দিয়েছেন।
যোগাযোগ করা হলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীও দ্য বিজনেস স্টাডার্ডকে পিটার হাসের কাছ থেকে চিঠিটি পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন।
তবে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ূয়া জানান, তারা এখনও পর্যন্ত এরকম কোনো চিঠি পাননি।
নভেম্বরের প্রথমার্ধে ঘোষণা করা হতে পারে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের তফসিল। তার ঠিক আগেই এল ডোনাল্ড লুর চিঠিটি।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, যারা গণতান্ত্রিক নির্বচন প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করবে, তাদের বিরুদ্ধে সমানভাবে মার্কিন ভিসানীতি বাস্তবায়ন অব্যাহত রাখা হবে।
প্রধান তিন রাজনৈতিক দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সাথে বৈঠকের অনুরোধ পিটার হাসের
এর আগে কোনো পূর্বশর্ত ছাড়াই বাংলাদেশের 'প্রধান তিন রাজনৈতিক দলকে' সংলাপে বসার জন্য দলগুলোর জ্যেষ্ঠ নেতাদের সাথে বৈঠকের অনুরোধ করেন বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের একজন মুখপাত্র বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি শান্তিপূর্ণ উপায়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। এজন্য সব পক্ষকে (রাজনৈতিক দলগুলোকে) সহিংসতা পরিহার এবং সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানাচ্ছে।
এর আগে চলতি বছরে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির সাথে বৈঠক করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। তবে নির্বাচনকে সামনে রেখে চলমান রাজনৈতিক অচলাবস্থার মধ্যে আবারো সে প্রচেষ্টা নেওয়া হলো।
তবে যুক্তরাষ্ট্র বারবার জানিয়েছে, তারা নির্দিষ্ট কোন রাজনৈতিক দলের পক্ষে নয়। বরং বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষাকেই গুরুত্ব দেয়।
গত আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনকে সমর্থন জানানোর নীতি তারা অব্যাহত রাখবে।
এরপর অক্টোবরে বাংলাদেশে আসা যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলও অংশগ্রহণমূলক ভোটের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ব্যাপক সংলাপের আহ্বান জানিয়েছিল।
গত ২ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার জানান, নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের সার্বিক ঘটনাপ্রবাহের ওপর ঘনিষ্ঠভাবে নজর রাখছে যুক্তরাষ্ট্র।
বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে সমর্থন দিতে প্রয়োজনে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।