পিটার হাসের বর্তমান অবস্থানের বিষয়ে অবগত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস আজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এটি রাষ্ট্রদূতের অবস্থান সম্পর্কে অবগত আছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) এক প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরিন বলেন, মন্ত্রণালয় অবশ্য কোনো রাষ্ট্রদূতের অবস্থান প্রকাশ করে না।
তিনি বলেন, 'রাষ্ট্রদূতেরা যখন স্টেশন ত্যাগ করেন, তখন তারা প্রটোকল অনুসরণ করেন এবং কূটনৈতিক চিঠির মাধ্যমে দেশ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেন। তাদের অনুপস্থিতিতে অন্য কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।'
'কূটনৈতিক নিয়ম হচ্ছে যেকোনো রাষ্ট্রদূত দেশ ত্যাগ করলে তা জানাতে হবে। তবে একজন রাষ্ট্রদূত কতদিনের জন্য কোথায় গিয়েছেন সে সম্পর্কে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তথ্য প্রকাশ করবে না; কারণ এ তথ্য রাষ্ট্রদূত আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছেন।'
গুজবের জবাবে তিনি আরও বলেন, 'কেন মিস-ইনফরমেশন ছড়াবে — আপনারা সংশ্লিষ্ট দূতাবাসে কথা বলতে পারেন।'
মার্কিন দূতাবাস এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি।
দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তাদেরকে কোনো মন্তব্যের জন্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে হত্যার হুমকি দেন কক্সবাজারের এক আওয়ামী লীগ নেতা।
গত ৬ নভেম্বর কালামারছড়া উপজেলায় কর্মী সমাবেশে মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ফরিদুল আলমের দেওয়া বক্তব্যের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
হোয়ানক ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফরিদুল আলমকে ভিডিওতে বলতে দেখা যায়, তিনি পিটার হাসকে জবাই করবেন।
তবে ফরিদুল আলম এ বক্তব্য অস্বীকার করে বলেন, 'এটা আমাদের দলের অভ্যন্তরীণ অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মানে আয়োজিত অনুষ্ঠানকে সফল করার কথা বলেছিলাম। ভিডিওটি কে রেকর্ড করেছে তা আমি জানি না। আমি এ ধরনের কোনো বক্তব্য দিইনি, এটা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।'
১৫ নভেম্বর বাংলাদেশে মার্কিন দূতাবাস একটি বিবৃতি জারি করে বলেছিল, রাষ্ট্রদূত পিটার হাসসহ তার কর্মীদের প্রতি সহিংসতার সাম্প্রতিক হুমকিগুলো অগ্রহণযোগ্য এবং গভীরভাবে উদ্বেগজনক।
গত ৬ নভেম্বর চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার চম্বল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মুজিবুল হক চৌধুরী পিটার হাসকে মারধরের হুমকি দেন।
গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, তিনি ফেসবুকে তার বক্তব্য লাইভ সম্প্রচার করেছিলেন।
ঘটনার পর ৯ নভেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জানায়, এটি আশা করে যেকোনো দেশের সরকার তাদের [যুক্তরাষ্ট্রের] কর্মীদের সুরক্ষা বজায় রাখতে সমস্ত উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
পরে ১০ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।