২৪ ঘণ্টা পর চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে শুরু পণ্য খালাস কার্যক্রম
ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাব কমে আসায় স্বাভাবিক হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম। ২৪ ঘণ্টা পর বহির্নোঙ্গরেও খোলা পণ্যবাহী জাহাজে শুরু হয়েছে খালাস কার্যক্রম।
জেটি থেকে গভীর সাগরে ফেরত পাঠানো জাহাজগুলো শনিবার (১৮ নভেম্বর) সকালের জোয়ারে চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে ফেরত আনা হয়েছে।
শনিবার সকাল থেকে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে কন্টেইনার ডেলিভারিসহ বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বন্দরে জাহাজ থেকে পণ্য ওঠানামা পুরোপুরি বন্ধ ছিলো চার ঘণ্টা। তবে জাহাজ বন্দরে ফিরিয়ে এনে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করতে এরচেয়ে বেশি সময় লেগেছে।
ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেলের পরিচালক (অপারেশন) আতাউল কবির রঞ্জু টিবিএসকে বলেন, "শুক্রবার সকালে বহির্নোঙ্গরে পণ্য খালাস বন্ধ হয়ে যায়। তবে শনিবার সকাল থেকে খালাস কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। বিকেল নাগাদ খালাস কাযক্রম স্বাভাবিক হয়ে আসবে।"
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শুক্রবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকর্ত সংকেত ৬ ঘোষণার পর চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজস্ব এলার্ট ৩ ঘোষণা করে। এরপর শুক্রবার সকাল ১১টায় জরুরি বৈঠক করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। ওই বৈঠকে জানানো হয় চট্টগ্রাম বন্দরে ২২টি জাহাজ অবস্থান করছিল।
জেনারেল কার্গো বার্থ (জিসিবি) ছাড়া চট্টগ্রাম কন্টেইনার টার্মিানাল (সিসিটি) এবং নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনালে (এনসিটি) অবস্থানরত জাহাজগুলোকে বিকেলের জোয়ারে গভীর সাগরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
শুক্রবার বিকেলে আবহাওয়া অধিদপ্তর সতর্ক সংকেত ৬ থেকে ৩ এ নামিয়ে আনলে কার্যক্রম শুরুর প্রস্তুতি নেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ। বন্দর জেটিতে অবস্থান করা জাহাজগুলোতে পণ্য উঠানামা শুরু হয়।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো: ওমর ফারুক টিবিএসকে বলেন, "বন্দর জেটিতে যেসব জাহাজ অবস্থান করছিল সেগুলো শুক্রবার রাত থেকে পণ্য উঠানামা শুরু হয়। ফেরত পাঠানো জাহাগুলো শনিবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টার মধ্যে বন্দরে এগুলো ফেরত আনা হয়। এছাড়া কন্টেইনার ডেলিভারি কার্যক্রমও এখন স্বাভাবিক রয়েছে।"