পিটার হাসের বৈঠক ও মস্কোর ‘অপব্যাখ্যা’ সম্পর্কে অবগত আমরা: মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বৈঠক ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে রাশিয়ার পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভার 'অপব্যাখ্যা'র বিষয়ে তারা অবগত।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, "যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের কোনো দলকে সমর্থন করে না। বাংলাদেশের কোনো দলকে যুক্তরাষ্ট্র অগ্রাধিকার দেয় না।"
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর তাদের বিবৃতির পুনরাবৃত্তি করে বলে, বাংলাদেশের মানুষ যা চায়, তারাও সেটাই চায়- আর তা হলো অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন।
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের অভিন্ন লক্ষ্য পূরণে এবং বাংলাদেশিদেরই স্বার্থে তাদের সাথে কাজ করার আহ্বান জানাতে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কর্মীরা সরকার, বিরোধী দল, নাগরিক সমাজ ও অন্য অংশীদারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে এবং ভবিষ্যতেও রাখবে, জানায় মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা গত বুধবার মস্কোতে এক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে দাবি করেন, ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বাংলাদেশে সরকারবিরোধী আন্দোলনের পরিকল্পনার বিষয়ে বিরোধী দলের এক নেতার সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
রুশ মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা অভিযোগ করেন, অক্টোবরের শেষদিকে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ও বিরোধী দলের উচ্চপর্যায়ের এক প্রতিনিধির মধ্যে বৈঠকের বিষয়ে তথ্য জনসমক্ষে এসেছে।
ওই বৈঠকে তাদের মধ্যে দেশে ব্যাপক সরকারবিরোধী বিক্ষোভ সংগঠিত করার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
রাশিয়ার দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত সে বৈঠকে এই 'প্রতিশ্রুতি' দিয়েছিলেন যে কর্তৃপক্ষ 'শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে' অংশগ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে বল প্রয়োগ করলে তাদেরকে তথ্যসহায়তা দেওয়া হবে।
ঢাকায় রাশিয়ান দূতাবাসের শেয়ার করা একটি ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করা হয়েছে, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া এবং আরও কয়েকটি দেশের দূতাবাসের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্র ওই আশ্বাস দিয়েছে।
মার্কিন রাষ্ট্রদূতের এমন কর্মকাণ্ডকে কীভাবে দেখা উচিত, সে প্রশ্ন তুলেছেন রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র।
তার মতে, "মার্কিন রাষ্ট্রদূতের এমন তৎপরতা একটি সার্বভৌম দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের চরম হস্তক্ষেপ। এমন তৎপরতা কূটনৈতিক সম্পর্কের বিষয়ে ১৯৬১ সালের ভিয়েনা সনদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।"
জাখারোভা বলেন, "দেশের সংবিধান অনুসরণ করে স্বাধীনভাবে ও বিদেশি শুভাকাঙ্ক্ষীদের সহযোগিতা ছাড়াই যে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচন পরিচালনা করতে সক্ষম, তা নিয়ে আমাদের কোনো সন্দেহ নেই।"