দলের স্বতন্ত্র কোনো প্রার্থীকে বহিষ্কার করা হবে না: ওবায়দুল কাদের
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া দলের কাউকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রোববার (৩ ডিসেম্বর) ধানমন্ডিতে দলের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
ভরাডুবির আশঙ্কায় বিএনপি ভোটে আসতে চাচ্ছে না, এমন মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, "তাদের অনেকেই নেতিবাচক রাজনীতি থেকে বের হতে চান। অনেকের নির্বাচনে অংশগ্রহণ এর প্রমাণ।"
জনসমর্থনের অভাবে বিএনপির আন্দোলন মুখ থুবড়ে পড়েছে মন্তব্য করে সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, "বিএনপি অগ্নিসন্ত্রাস, চোরাগোপ্তা হামলা আর নাশকতা করছে। স্বাভাবিক পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে রাজনীতিকে সন্ত্রাসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে তারা। ২০১৪-১৫ এর অপকর্ম শুরু করেছে। পার্ক করা গাড়িতে আগুন দিয়েছে, গাড়ি ড্রাইভার-হেলপার মারা গেছে।"
বিএনপি রাজনীতিতে ব্যর্থ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, "গণবিরোধী রাজনীতিকে সমর্থন না দিলে, বিএনপি জনগণকে শত্রু ভাবে। তাদের নৃশংসতার নির্মম শিকার বেলাল হোসেন। নির্বাচন এলেই কিছু মানুষ ও গোষ্ঠী ষড়যন্ত্র করে। নির্বাচনে হেরে যাওয়ার আশঙ্কায় এই গোষ্ঠী পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করে। দেশে এখন সে চেষ্টাই করছে। লন্ডনে বসে দেশের ক্ষতি করার ফরমায়েশ দিচ্ছে। নির্বাচন যেন না হতে পারে সেজন্য ষড়যন্ত্র করছে।"
"এই নেতিবাচক অবস্থা থেকে বিএনপির অনেক নেতা বেরিয়ে এসে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। অনেকের শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে। অনেকেই তাদের নেতিবাচক রাজনীতিতে জড়িয়ে জীবন ক্ষতিগ্রস্ত করতে চান না। যারা বিএনপির নেতিবাচক রাজনীতিকে প্রত্যাখ্যান করে সুস্থ ধারায় ফিরে আসতে শুরু করেছেন তাদের ধন্যবাদ জানাই,' বলেন কাদের।
সামনে বিএনপির আরও অনেক নেতাকর্মী রাজনীতির সুস্থ ধারায় ফিরে আসবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপি না এলেও নির্বাচন একতরফা হবে না জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, "২৮টি নিবন্ধিত দল নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। বিএনপি একটি দল। তাদের ভুলের রাজনীতির কারণে অনেক দল তাদের দল থেকে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। বিএনপি একটি দল নির্বাচনে না এলে নির্বাচন অশুদ্ধ হয়ে যাবে না। বিএনপি ভুয়া আন্দোলনে অনেকে বিভ্রান্ত হয়েছে।"
এসময় সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাপা, উপ দপ্তর সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।