১৫ বছরে দীপু মনির আয় বেড়েছে ৪১ গুণ
২০০৮ সালের পর থেকে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির আয় ব্যাপক হারে বেড়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য তাঁর জমা দেওয়া হলফনামা অনুসারে, যা এসময়ে ৪১ গুণ বেড়েছে।
আলোচিত সময়ে নগদ টাকা, সঞ্চয়পত্র ও স্বর্ণসহ তাঁর অস্থাবর সম্পদও বেড়েছে প্রায় ৫৯ গুণ।
২০০৮ সালের নির্বাচনী হলফনামায় দীপু মনি তাঁর কোন ঋণ নেই বলে জানিয়েছিলেন, তবে এবার তিনি প্রায় ১ কোটি ১২ লাখ টাকা ব্যক্তিগত ঋণের কথা উল্লেখ করেছেন।
দীপু মনি বর্তমানে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং চাঁদপুর-৩ আসনে দলের মনোনীত প্রার্থী।
তিনি ২০০৮ সালে প্রথম চাঁদপুর–৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর আগে ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর তাঁকে শিক্ষামন্ত্রী করা হয়।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এবারও দীপু মনি চাঁদপুর–৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী। তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে যে হলফনামা দিয়েছেন, তাতে পেশা হিসেবে চিকিৎসক, জনস্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞ, আইনজীবী ও রাজনীতিক হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
হলফনামা অনুযায়ী, ২০০৮ সালে দীপু মনির পেশাগত আয় ছিল বছরে ৩ লাখ টাকা, ২০২৩ সালের হলফনামায় এ তিনটি খাত থেকে আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ২৩ লাখ টাকায়।
দীপু মনি হলফনামায় উল্লেখ করেছেন, শেয়ার, সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানত থেকে তিনি সুদ পান ৩ লাখ এক হাজার ২০০ টাকা। মন্ত্রী হিসেবে পারিতোষিক ও ভাতাদি পান ২১ লাখ ৩৯ হাজার ৩৯৬ টাকা, স্বামী ও ভাইয়ের কাছ থেকে উপহার হিসেবে পেয়েছেন ৯০ লাখ টাকা এবং ব্যাংক আমানতের সুদ পান ৮ লাখ ৬৯ হাজার ৬৭৪ টাকা।
২০০৮ সালে দীপু মনির মোট অস্থাবর সম্পদ ছিল ৫ লাখ টাকার সমপরিমাণ। এর মধ্যে ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা ছিল নগদ। গাড়ির দাম তিনি দেখিয়েছিলেন ১ লাখ টাকা। ২৫ ভরি সোনা বাবদ তিনি ১ লাখ টাকা এবং আসবাব বাবদ ৩০ হাজার টাকা দেখিয়েছিলেন।
২০২৩ সালে দীপু মনি মোট অস্থাবর সম্পদের মূল্য দাঁড়িয়েছে প্রায় ২ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে নগদ রয়েছে প্রায় ৬৭ লাখ টাকা এবং সঞ্চয়পত্র ও সমজাতীয় বিনিয়োগ রয়েছে ১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। গাড়ির দাম ৬০ লাখ টাকা এবং স্বর্ণ ও অন্যান্য ধাতুর দাম ৯ লাখ টাকা দেখিয়েছেন। কিছু বৈদেশিক মুদ্রাও আছে তাঁর কাছে।
স্থাবর সম্পদের মধ্যে দীপু মনির ৩টি ফ্ল্যাট ও ১০ কাঠা জমি রয়েছে, যেগুলোর মূল্য দেখানো হয়েছে ৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকার বেশি। উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে তাঁর কোনো স্থাবর সম্পদ ছিল না।