ব্যাংকের ৯২,২৬১ কোটি টাকা কোথায় গেছে, সিপিডিকে তা বলতে হবে: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ব্যাংক খাতে আর্থিক অনিয়মের যে অভিযোগ সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) তুলেছে, সেটি তাদেরই খণ্ডাতে হবে।
আজ সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।
এর আগে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সিপিডি জানায়, ২০০৮-০৯ অর্থবছর থেকে এ পর্যন্ত বড় ২৪টি বড় অনিয়ম/ কেলেঙ্কারির মাধ্যমে ব্যাংকখাত থেকে যে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে, তার পরিমাণ ৯২ হাজার ২৬১ কোটি টাকা।
এর প্রতিক্রিয়ায় সোমবার ওবায়দুল কাদের বলেন, "সিপিডিকেই বলতে হবে, সেই টাকাগুলো কোথায় আছে। তারা বিস্তারিত তথ্য দিলে, আমরা সেই টাকা দেশে ফিরিয়ে আনব।"
সিপিডির প্রতিবেদন সম্পর্কে তিনি সঠিকভাবে অবহিত নন জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'দেবপ্রিয় (দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য) নাকি মুস্তাফিজ (অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান) এ রিপোর্ট কে দিয়েছে?।' আমার বক্তব্য হচ্ছে, এই টাকাগুলো কোথায় গেছে? আপনারা টাকার সন্ধান দেন, আমরা টাকাগুলো ফিরিয়ে আনতে চাই।
এসময় নির্বাচন-কালীন পরিবেশ সম্পর্কে কাদের বলেন, ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বড় কোনো সংঘাতের শঙ্কা দেখছি না। "আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্রের নামে যদি কেউ সংঘাত তৈরি করে, বিশৃঙ্খলা করে তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথ ব্যবস্থা নেবে, এটাই আমরা দলীয়ভাবে চাইব। আমরা চাই, একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন। এখানে কে দলীয় প্রার্থী আর কে স্বতন্ত্র প্রার্থী, সেটা আলাদাভাবে দেখার সুযোগ নেই। একটা নির্বাচন হলে সেখানে সংঘাত একটি স্বাভাবিক বিষয়। তবে নির্বাচনকে ঘিরে বড় ধরনের কোনো সংঘাতের শঙ্কা দেখছি না।"
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। নির্বাচনী আচরণবিধি যেন যথাযথভাবে কার্যকর হয় সেটি নিশ্চিত করা তাদের দায়িত্ব। 'আমরা দেশ চালাচ্ছি, তবে সবকিছু ১০০ ভাগ পারফেক্ট তা দাবি করি না। সমালোচনা থাকবেই, এতে সংশোধনের সুযোগ তৈরি হয়।'
সম্প্রতি সংখ্যালঘুর ওপর হামলার ঘটনা বিচ্ছিন্ন উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আমরা তাদের ধর্মীয় কর্মকাণ্ডে শ্রদ্ধাশীল, সহানুভূতিশীল। তারা আমাদের নাগরিক, আমাদের ভোটার। এমনকি তারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধেও বড় ভূমিকা আছে। আমরা তাদের ভিন্ন কোনও চোখে দেখি না।'
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা ও উপদফতর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।