এক আসামির বদলে অন্য নারীকে গ্রেপ্তার, জেল খাটতে হলো ৪ দিন
সাতক্ষীরার তালায় পুলিশের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানায় এক আসামির পরিবর্তে অন্য নারীকে কারাগারে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। টানা চারদিন কারাগারে ছিলেন নিরাপরাধ ওই নারী।
এ ঘটনায় ওই নারীর পরিবার পুলিশের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা ও পুলিশের দালাল শামীম খানের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছে।
এদিকে, চারদিন জেল খাটার পর কারাগারে থাকা রুহী আকতার স্মৃতির স্বজনরা বুধবার সাতক্ষীরা আদালত থেকে তাকে জামিনে মুক্ত করে। মামলার নথিপত্রে দেখতে যায়, যে মামলায় রুহী আকতার স্মৃতিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ওই মামলার প্রকৃত আসামি তালা উপজেলার আরিফুল ইসলামের স্ত্রী সুমি আক্তার।
অভিযোগে জানা গেছে, তালা উপজেলার বারুইআটি গ্রামের শহর আলীর মেয়ে রুহী আকতার স্মৃতিকে একটি চেক প্রতরণার মামলায় ২৩ ডিসেম্বর বিকেল ৩টায় দিকে বাড়ি থেকে বারুইআটি গ্রামের পুলিশের দালাল শামিম খানের সহযোগিতায় গ্রেপ্তার করে থানার এসআই মামুন। গ্রেপ্তারের পর রুহী আকতার স্মৃতিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
ভুক্তভুগী নারীর স্বামীর নাম আরিফুল ইসলাম মালী, বাবা শহর অলী ও মায়ের নাম হালিমা বেগম। তালার বারুইহাটি গ্রামের বাসিন্দা তিনি।
অপরদিকে, প্রকৃত আসামি সুমী আক্তারের স্বামীর নাম আরিফুল ইসলাম বিশ্বাস। তিনিও একই গ্রামের বিশ্বাসপাড়ার।বাসিন্দা।
এ ঘটনায় তালা থানার এসআই মামুন বলেন, "গ্রেপ্তার করার সময় বা থানায় এসে তাদের পরিবারের কেউ বলেনি আমি সেই আসামি নই। তালা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানও এসেছিলেন; তিনিও বলেননি এই আসামি সেই আসামি নয়। এখন আপনাদের মাধ্যমে শুনছি গ্রেপ্তার করা আসামি প্রকৃত আসামি নন।"
দালাল শামীম খানের সহায়তায় গ্রেপ্তারের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
গ্রেপ্তার হওয়া নারীর শ্বশুর আব্দুল কাদের মালী জানান, "বার বার বলেছি পুলিশকে আমরা কোনো এনজিও থেকে লোন নেয়নি। এই আসামি সেই আসামি নয়। তবুও বৌমাকে ভাত খাওয়া অবস্থায় ধরে নিয়ে যায়। চারদিন নির্দোষ মানুষ জেল খেটেছে।"
মামলার বাদি বেসরকারি এনজিও সংস্থা জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন তালা শাখার ম্যানেজার সৈয়দ ইমারন আলী বলেন, "আমি মাত্র এক মাস আগে এই শাখায় যোগদান করেছি। কাগজপত্র না দেখে বিস্তারিত বলতে পারছি না।"
এ ঘটনায় তালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোমিনুল ইসলাম জানান, "দুটি চেক প্রতারণার মামলায় তাকে আটক করা হয়। চেয়ারম্যান জাকিরও থানায় এসেছিল। তখন তিনিও বলেননি অন্য আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে। তাছাড়া তাদের পরিবারের কেউই বিষয়টি জানায়নি। ঘটনাটি আমরা জানার পর বিস্তারিত খোঁজ খবর নিচ্ছি।"