খাগড়াছড়ির ১৯ কেন্দ্রে সারাদিনে শূন্য ভোট
খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়ি, পানছড়ি ও দীঘিনালা উপজেলার ১৯টি কেন্দ্রে সারাদিনে কোনো ভোট পড়েনি। রোববার রাত সাড়ে ৮ টায় তিন উপজেলার সংশ্লিষ্ট সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
দীঘিনালা উপজেলার রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুনুর রশীদ জানান, দুর্গম এলাকার তিনটি কেন্দ্রে কোনো ভোটার ছিল না। তাই দিনশেষে শূন্য ভোট গণনা হয়েছে।
কেন্দ্রগুলো হলো: বাবুছড়া ইউনিয়নের নুনছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জারুলছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দীঘিনালা ইউনিয়নের ২নং বাঘাইছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
তবে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে কোনো ভোট পড়েছে কিনা সে ব্যাপারে এখনও কোনো তথ্য নেই। জেলায় এ তথ্য থাকতে পারে।
অন্যদিকে, লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা রাজিয়া ৫টি কেন্দ্রে কোনো ভোট না পড়ার তথ্য নিশ্চিত করেন।
কেন্দ্রগুলো হলো: বর্মাছড়ি ইউনিয়নের বর্মাছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়, কুতুবছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মুক্তাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফুত্যাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও লক্ষ্মীছড়ি ইউনিয়নের শুকনাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
পানছড়ি উপজেলার ভোটকেন্দ্রগুলো হলো: চেঙ্গী ইউনিয়নের লোগাং করল্যাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তারাবন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চেঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়; লতিবান ইউনিয়নের তারাবনছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শুকনাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উল্টাছড়ি ইউনিয়নের মরাটিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শান্তিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়; লোগাং ইউনিয়নের ধুদুকছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিষ্টমনি পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বড় পানছড়ি (উত্তর) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পানছড়ি ইউনিয়নের লতিবান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এরমধ্যে ফুত্যাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শুকনাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অতিদুর্গমে হওয়ায় অধিক ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত ছিল।
লতিবান ইউনিয়নের দক্ষিণ লতিবান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি মাত্র ভোট পড়েছে। ১১টি কেন্দ্রে শুন্য ভোট ও একটিতে ১ ভোট পড়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন পানছড়ির সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন দাশ।
২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর পানছড়ির লোগাংয়ের পূজগাংয়ে প্রতিপক্ষের গুলিতে ইউপিডিএফ সমর্থিত পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের সাবেক সভাপতি বিপুল চাকমাসহ ৪ জন নিহত হন। এ ঘটনায় ভোট বর্জনের ডাক দেয় সংগঠনটি।
প্রত্যন্তাঞ্চলে ভোট বর্জনে প্রচারণার পাশাপাশি ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ উঠে সংগঠনটির বিরুদ্ধে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জনগণ প্রহসনের একতরফা নির্বাচনকে বর্জন করেছে বলে দাবি করেন সংগঠনটির মুখপাত্র নিরন চাকমা।
এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি কোনো প্রার্থী ও সংগঠন।
প্রসঙ্গত, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে খাগড়াছড়ি আসনে এবার মোট ভোটার ছিল ৫ লাখ ১৫ হাজার ৪১৯ জন।
আওয়ামী লীগ, তৃণমূল বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতায় ছিলেন।