২০২৩ সালে দেশে ৫১৩ শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন: আঁচল ফাউন্ডেশন
২০২৩ সালে সারাদেশে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং মাদ্রাসার অন্তত ৫১৩ শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে বলে আঁচল ফাউন্ডেশনের এক সমীক্ষায় জানা গেছে।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশিত সমীক্ষা রিপোর্ট অনুযায়ী, নিহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২২৭ (৪৪.২%) জন স্কুলের, ১৪০ (২৭.২%) জন কলেজের, ৯৮ (১৯.১%) জন বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং ৪৮ (৯.৪%) জন মাদ্রাসার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৬০ দশমিক ২ শতাংশ ছিলেন মেয়ে শিক্ষার্থী। আর বাকি ৩৯ দশমিক ৮ শতাংশ শিক্ষার্থী ছেলে।
এ শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যায় প্ররোচিত হওয়ার পেছনে প্রধান কারণ ছিল আবেগ বা অভিমান। ১৬৫ জন বা ৩২ দশমিক ২ শতাংশ শিক্ষার্থী আবেগঘটিত কারণে আত্মহত্যা করেছেন। অন্যদিকে, রোমান্টিক সম্পর্ক এবং প্রাতিষ্ঠানিক ব্যর্থতার কারণেও অনেক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেন।
ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ সংখ্যক পড়ুয়ার আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। গত বছর এ বিভাগে ১৪৯ জন শিক্ষার্থী এ পথ বেছে নেন। অন্যদিকে সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম ১২ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্যে আঁচল ফাউন্ডেশনের সভাপতি তানসেন রোজ বলেন, দেশের ভবিষ্যৎ ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিতে হবে।
সংস্থাটি প্রতি মাসে অন্তত একবার সমস্ত শিক্ষার্থীদের জন্য নিয়মিত মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরামর্শ দিয়েছে।
এছাড়া এটি দ্রুত ও সহজলভ্য মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মানসিক স্বাস্থ্য কর্নার স্থাপন এবং একটি টোল ফ্রি জাতীয় হটলাইন চালু করারও সুপারিশ করেছে।
মানসিক সহায়তা দিতে দেশে প্রথমবারের মতো হেল্পলাইন সেবা শুরু করেছে 'কান পেতে রই'। কেউ চাইলে নিজেদের নাম-পরিচয় গোপন রেখে বিনামূল্যে 'কান পেতে রই'-এর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত অভিজ্ঞ স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। এছাড়া অনলাইন ও সরাসরি দুইভাবেই মানসিক স্বাস্থ্যসংক্রান্ত যেকোনো সমস্যায় বিশেষজ্ঞ কাউন্সেলিং সেবা ও পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করে 'মনের বন্ধু'।