মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় অবৈধ সংযোগের কারণে তিতাসের ৪২% সিস্টেম লস হচ্ছে
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় ১১ হাজার অবৈধ সংযোগের মাধ্যমের সরবরাহের কারণে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেদের সিস্টেম লস হচ্ছে ৪২ শতাংশ।
বুধবার (৬ মার্চ) রাজধানীর পেট্রোবাংলা হলরুমে গণশুনানিতে এ তথ্য জানানো হয়।
শুনানির সময় এক প্রশ্নের জবাবে তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হারুনুর রশিদ মোল্লা বলেন, 'আমরা যখন অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে অভিযানে গেছি, স্থানীয়রা রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে।'
তিনি জানান, প্রশাসনের সুপারিশে সেখানকার ভাল্ব বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সে কারণে গজারিয়ায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
অবৈধ সংযো বিচ্ছিন্ন করতে তিতাসের বৈধ গ্রাহকদের সহযোগিতা প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার বলেন, 'গ্যাস চুরি অনেক আগে থেকে হচ্ছে। কর্মচারীদের দায় রয়েছে এটা স্বীকার করছি।'
তিনি আরও বলেন, 'অঞ্চলভিত্তিক কোন অঞ্চলে কত লোকসান হচ্ছে, তা চিহ্নিত করা হয়েছে। কোনো অঞ্চল যদি সিস্টেম লস কমাতে না পারে, ওই অঞ্চলের কর্মকর্তার বেতন কাটা শুরু করব।'
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া শিল্পাঞ্চলে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ফলে বন্ধ হয়ে গেছে এলাকার বেশ কিছু শিল্প প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন।
দ্রুত গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য ১৩টি শিল্প প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে লিখিত আবেদন দেওয়ার কথা জানা গেছে।
শুনানির সময় শিল্প মালিকেরা নির্বিঘ্নে উৎপাদনের সুবিধার্থে কারখানায় গ্যাস সরবরাহের গতি বাড়াতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
গাজী গ্রুপের জিএম আলমগীর আকন্দ বলেন, 'গ্যাসের সরবরাহ না বাড়ালে খুবই সংকটে পড়ব। উৎপাদন করতে না পারলে আগামী ঈদে বেতন-বোনাস দিতে পারবো না।'
আকবর কটন মিলস লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার (প্রশাসন) বলেন, 'গ্যাসের অভাবে দিনের বেলা বসে থাকতে হয়। রাতে কারখানায় কাজ চলে। ভালুকা জোনে দেড়মাস ধরে এই অবস্থা! এখন শ্রমিকদের ছুটিও দিতে পারছি না! এভাবে চললে ঈদে বেতন, বোনাস দেওয়া কঠিন হবে।'
শুনানিতে অন্যদের মধ্যে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন উপস্থিত ছিলেন।