কামরাঙ্গীরচরে ঢাকা দক্ষিণের বাণিজ্যিক অঞ্চলের পরিকল্পনা বাতিলের দাবি বাসিন্দাদের
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে বাণিজ্যিক কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের। এতে ওই এলাকার বহু বাসিন্দার উচ্ছেদের বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে নাগরিক সমাজের প্ল্যাটফর্ম 'কর্মরাঙ্গীরচর নাগরিক পরিষদ'-এর ব্যানারে নাগরিকেরা দক্ষিণ সিটির এ পরিকল্পনা বাতিলের দাবি জানিয়েছে।
শুক্রবার (৮ মার্চ) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে 'ড্যাপ-কামরাঙ্গীরচর, অপ্রয়োজনীয় উন্নয়ন এবং জনগণের ভাবনা' শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠকে এ দাবি তোলেন তারা। তারা বলেন, 'কেন্দ্রীয় বাণিজ্যিক অঞ্চল' প্রকল্পটি ঢাকার বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনার (ড্যাপ) সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং কামরাঙ্গীরচরে এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়নের এখতিয়ার সিটি করপোরেশনের নেই।
ভার্চুয়ালি ওই অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে কবি নির্মলেন্দু গুণ বলেন, এ প্রকল্প অপ্রয়োজনীয়।
১৫ বছর ধরে কামরাঙ্গীরচরের ৫৫ নং ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা নির্মলেন্দু গুণ কামরাঙ্গীরচরে এ ধরনের প্রকল্প গ্রহণের এখতিয়ার সিটি করপোরেশনের আছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
তিনি বলেন, ঢাকা সিটি কর্পোরেশনকে তাদের পরিকল্পনার বিষয়ে কামরাঙ্গীরচরের ২০ লক্ষ মানুষকে অবহিত করতে হবে।
অনুষ্ঠানে কামরাঙ্গীরচর নাগরিক পরিষদের সদস্যরা প্রস্তাবিত প্রকল্প নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ঢাকা দক্ষিণের মেয়র ফজলে নূর তাপসের একটি বিবৃতি উদ্ধৃত করে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে কামরাঙ্গীরচরের ২০ লাখ বাসিন্দা উচ্ছেদের মুখোমুখি হতে পারে, কারণ প্রকল্পটিতে ৫০তলা ভবন নির্মাণের জন্য ১ হাজার ২০০ একর জমি প্রয়োজন।
গোলটেবিল বৈঠকে নগর বিশেষজ্ঞরা জানান, কামরাঙ্গীরচর ঢাকার ড্যাপ অধিভুক্ত। এখানে কোনো প্রকল্প পরিকল্পনা প্রণয়ন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) কাজ। ড্যাপে কামরাঙ্গীরচর আবাসিক প্রধান মিশ্র এলাকা। এখানে ডিএসসিসির বাণিজ্যিক হাব বিষয়টি আইনসংগত নয়। ড্যাপের বাইরে গিয়ে বাণিজ্যিক হাব করা হবে বেআইনি, যা ড্যাপের লক্ষ্যকে বাধাগ্রস্ত করবে।
অনুষ্ঠানে কামরাঙ্গীরচরের ভূমি মালিকরা জানান, উন্নয়নের সঙ্গে তাদের বিরোধ নেই। তবে তাদেরকে সব জানিয়ে সঙ্গে নিয়ে যেকোনো কাজ করতে হবে।
তারা কামরাঙ্গীরচরে রাজউকের ভবন নির্মাণ অনুমোদন আবারও চালুর দাবি জানান।