ফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সোনারগাঁ উপ-নির্বাচনে সংঘর্ষ, ১ জন নিহত
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের উপ-নির্বাচনে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে হৃদয় (২৪) নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। একই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন নিহতের চাচাতো ভাই ফারুক ভুঁইয়া (৩৫)।
শনিবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যায় পিরোজপুর ইউনিয়নের দুধঘাটা এলাকায় ভোট গননাকালে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান।
তিনি বলেন, 'দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন মারা যাবার খবর পেয়েছি। আমাদের ফোর্স পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাবার বুলেট ছুঁড়েছে। নির্বাচনী এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।'
নিহত হৃদয় দুধঘাটা এলাকার আমীর আলী ভুঁইয়ার ছেলে। আহত তার চাচাতো ভাই ফারুক ভুইয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতের লাশ নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।
স্থানীয়দের মাধ্যমে জানা যায়, পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের উপ-নির্বাচনে ভোট গণনা শেষে আজিজ সরকারকে বিজয়ী ঘোষণা করেন প্রিজাইডিং অফিসার। এতে পরাজিত প্রার্থী কায়সার আহম্মেদ রাজু ও তার সমর্থকেরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে আজিজ সরকার ও কায়সার সমর্থকদের মধ্যে সংর্ঘষ শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা শর্টগানের গুলি ও রাবার বুলেট ছোড়েন। এতে কায়সারের দুই সমর্থক– হৃদয় ও ফারুক গুলিবিদ্ধ হন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মোশারফ হোসেন বলেন, 'হাসপাতালে আনার আগেই হৃদয় নামে এক যুবক মারা যায়। তার শরীরে বেশ কিছু ছররা গুলির চিহ্ন রয়েছে। আরও একজন একইভাবে আহত হওয়ায় তাকে ঢামেকে রেফার্ড করা হয়েছে।'
পরাজিত প্রার্থী কায়সার আহম্মেদ রাজু বলেন, 'প্রিজাইডিং অফিসাররা নির্বাচনের ফলাফলের আগেই পোলিং এজেন্টদের সাক্ষর নেন। এরপরে তারা মোরগ মার্কার প্রার্থীকে (আজিজ সরকার) জয়ী ঘোষণা করলে আমার সমর্থকরা এর প্রতিবাদ জানায়। এরপর তারা আমাদের উপর আক্রমণ করে। হাতাহাতির এক পর্যায়ে পুলিশ গুলি ছুঁড়ে। তারপরেই এই ঘটনা ঘটে।'
অন্যদিকে বিজয়ী প্রার্থী আজিজ সরকার বলেন, 'সারাদিন সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোট গণনা শেষে আমাকে জয়ী ঘোষণা করার পরে আমি আমার সমর্থকদের নিয়ে বাড়ি চলে আসি। পরবর্তীতে পুলিশের সাথে কীভাবে সংঘর্ষ হয়েছে- তা আমার জানা নেই।'