নাবিকদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে, তবে সময় নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ'র নাবিকদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। তবে কবে তাঁদের উদ্ধার করা যাবে, সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না।
আজ বুধবার (১৩ মার্চ) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
জিম্মিকারী দস্যুরা সাধারণ মানুষ নয় মন্তব্য করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'যারা জাহাজ অপহরণ করেছে, তারা তো মানুষ না, দস্যু। তাই কবে (নাবিকদের) তাদের উদ্ধার করা যাবে, এখনই বলা যাবে না।' নাবিকদের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে সরকার বদ্ধপরিকর। এজন্য কিছু আন্তর্জাতিক সংস্থার সহযোগিতা নেওয়া হবে।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী জানান, সোমালিয়া থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে ভারত মহাসাগরে এ ঘটনা ঘটেছে। ফলে ধারণা করা হচ্ছে, জলদস্যুরা সোমালিয়ার। তবে তাদেরকে এখনও আইডেনটিফাই করা যায়নি। তবে দস্যুরা যে ওই অঞ্চলের লোক তা বলা যায়।
প্রধানমন্ত্রী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের জাহাজের নাবিকদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছেন।
একথা জানিয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেকোনো মূল্যে যথাসম্ভব দ্রুততার সাথে আমরা তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনতে চাই।
জলদস্যুরা নাবিকদের ছাড়তে '৫০ লাখ' মার্কিন ডলার দাবি করেছে বলে জানা গেছে। মুক্তিপণ না পেলে বাংলাদেশি নাবিকদের মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে।
নাবিকদের প্রাণসংশয়ের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মুক্তিপণের জন্য হত্যার হুমকি দেওয়ার বিষয়ে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো তথ্য জানতে পারিনি।
গতকাল মঙ্গলবার (১২ মার্চ) মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে 'এমভি আবদুল্লাহ' জাহাজটিতে উঠে নিয়ন্ত্রণ নেয় জলদস্যুরা। জাহাজে ২৩ জন নাবিক রয়েছেন। জাহাজটি চট্টগ্রামের কবির (কেএসআরএম) গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এস আর শিপিং লিমিটেডের মালিকানাধীন।
এদিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ছিনতাই হওয়া জাহাজ এবং এর ক্রুদের উদ্ধারে অভিযান শুরু করতে কয়েকদিন সময় লাগতে পারে।
কেএসআরএম গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর শাহরিয়ার জাহান রাহাত দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, যোগাযোগ প্রক্রিয়া শুরু হলে জাহাজে থাকা ২৩ নাবিককে উদ্ধারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবে কেএসআরএম।