এমভি আবদুল্লাহর নাবিকদের দ্রুত মুক্ত করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে সরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দ্রুত সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ উদ্ধার এবং জাহাজটির নাবিকদের সুস্থভাবে মুক্ত করতে সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার অ্যাডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদার অডিটোরিয়ামে স্থানীয় প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতাদের স্মরণ সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'আমরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক হয়েছে; জাহাজ উদ্ধার ও নাবিকদেরকে সুস্থভাবে মুক্ত করার জন্য সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। তবে আমরা কোন প্রক্রিয়ায় এগুচ্ছি সেটি বলতে চাই না, কারণ এটি জনসমক্ষে প্রকাশ করার বিষয় না।'
তিনি বলেন, 'আমাদের চাওয়া দ্রুততম সময়ের মধ্যে নাবিক ও জাহাজ দুটোকেই মুক্ত করা।'
ড. হাছান বলেন, 'একই কোম্পানির আরেকটি জাহাজ ২০১০ সালে অপহৃত হয়েছিল। সেটিকে মুক্ত করতে ১০০দিন সময় লেগেছিল। আমাদের প্রচেষ্টার কোনো কমতি নেই। আমরা নানাভাবে প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। আশা করছি অতীতের মত এবারও সম্পূর্ণ সুষ্ঠুভাবে জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধার করতে পারব।'
এদিকে, জলদস্যুদের হাতে অপহৃত বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ বৃহস্পতিবারের (১৪ মার্চ) নোঙর পয়েন্ট থেকে ৪৫-৫০ নটিক্যাল মাইল উত্তরে সরে গেছে।
বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শুক্রবার রাত ৮টায় দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'জাহাজটি গতকালের নোঙর পয়েন্ট থেকে প্রায় ৪৫-৫০ নটিক্যাল মাইল উত্তর দিকে অগ্রসর হয়েছে। এটি গোদোব জিরান উপকূল থেকে প্রায় ৪ মাইল দূরে নোঙর করেছে।'
গোদোব জিরান সোমালিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় নুগাল প্রদেশের একটি শহর।
শুক্রবার পর্যন্ত জলদস্যুরা কোনো মুক্তিপণ দাবি করেনি।
মিয়ানমার থেকে আরও ১৪৯ জন বিজিপি সৈন্য বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের ব্যাপারে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'এর আগেও মিয়ানমারের এ ধরনের কিছু নাগরিক আমাদের দেশে এসেছিল।'
তিনি আরও বলেন, 'আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা করে তাদেরকে যেভাবে ফেরত পাঠিয়েছি, এবারও একই প্রক্রিয়ায় এদেরকে ফেরত পাঠানোর লক্ষ্যে কাজ করছি।'